• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২১, ১২:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৬, ২০২১, ১২:২৬ পিএম

রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব

রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব

আগামী ৩ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। আসছে অর্থবছরে রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রীকে গত ২৮ এপ্রিল চিঠি দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী।

সরকার আরও বেশি করে রেমিট্যান্স আনতে চায়। তাই রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনার পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা রয়েছে তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা। আসছে অর্থবছরে তা চার হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার চিন্তা করছে সরকার।

বর্তমানে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আসছে অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এখন কেউ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে তাকে ১০২ টাকা দেওয়া হয়। আগামীতে তা এক টাকা বাড়িয়ে ১০৩ টাকা দেওয়া হতে পারে। 

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এতে প্রবাসীরা আরও বেশি করে বৈধভাবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হবে। আর এতে সমৃদ্ধ হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

চিঠিতে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রবাসী কর্মীদের কষ্টার্জিত আয়ে করোনার মধ্যেও রেমিট্যান্স প্রবাহ সচল আছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান অর্থবছরে এটি ৩৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আসছে অর্থবছরে এটি আরও ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রণোদনা বৈধ পথে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক উৎসাহিত করেছে, বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গমনাগমন ও আমদানি কমে যাওয়ায় হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন প্রবাসী কর্মীরা।

জানা গেছে, দুই হাজার ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল)। একই সময়ে এক হাজার ৪৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে। সে হিসাবে বর্তমান অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৯ শতাংশের বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল করোনার প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয় ২২ শতাংশ কমে যাবে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দেখা যায়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রবাসী আয় বেড়েছে। আর ভারতের ৩২ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাংলাদেশে। প্রণোদনা পেয়ে হুন্ডির প্রতির আগ্রহ হারানোকেই প্রবাসী আয় বাড়ার অন্যতম কারণ মনে করছেন তারা।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেছেন, “প্রবাসীদের বৈধ পথে টাকা পাঠানোর উৎসাহ ধরে রাখতে হবে। তাই সরকার যদি প্রস্তাবটি বিবেচনা করে, তাহলে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধির প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।”