• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২১, ০৯:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩, ২০২১, ০৯:৫৭ পিএম

দারিদ্র্য হার ১২.৩ শতাংশে নামানোর ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

দারিদ্র্য হার ১২.৩ শতাংশে নামানোর ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

২০২৪ সালের মধ্যে দেশের দারিদ্র্য হার ১২.৩ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় এ ঘোষণা দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপরে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বিবিএস।

তবে গত ২৩ জানুয়ারি বেরসকারি সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক গবেষণা জরিপে বলা হয়, দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) তথ্য বলছে, দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ৩৬ শতাংশ।

আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) বলছে, কোভিড ১৯ মহামারিতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ।

সংসদে বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে সাহসী, দৃঢ়, জনকেন্দ্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে লাগসই কৌশলসমূহ; যেমন, দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণ, আর্থিক প্রণোদনা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে উৎসাহ প্রদান, নারী ও যুব প্রশিক্ষণ, নারী-পুরুষের সমতা আনয়ন, আইসিটি ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, কার্যকর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বিনির্মাণ ইত্যাদির প্রয়োগে আমাদের সাফল্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাময়িকভাবে হলেও যে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে, তা দারিদ্র্য দূরীকরণে আমাদের চলমান অগ্রগতিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। তবে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন প্রদান, সিএমএসএমই খাতসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবাখাতে সুদ ভর্তুকিসহ স্বল্পসুদে চলতি মূলধনের যোগান, অতি দরিদ্র মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ, বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণ এবং বিশেষায়িত ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কর্মসৃজন কার্যক্রমসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দূরদর্শী ও সময়োচিত প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তা শ্রমজীবী মানুষের চাকরি টিকিয়ে রাখতে ও অসহায় দরিদ্র মানুষকে ক্ষুধা হতে সুরক্ষা দিয়েছে।