
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে বিশ্বের যে তিনটি দেশ এগিয়ে আছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এসডিজি অর্জনে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে আরও দুটি দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান ও আইভরি কোস্ট।
২০১৫ সালে এসডিজি গৃহীত হওয়ার পর এই প্রথম এর সূচকের স্কোর আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধিকে এর পেছনের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এসব লক্ষ্যমাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড ১৯ মহামারির কারণে।
জাতিসংঘ ২০১৫ সালে এসডিজি গ্রহণ করে। এটি ১৫ বছর মেয়াদি। এর উদ্দেশ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য দূর করা, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুস্বাস্থ্য, উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত ও লিঙ্গবৈষম্য প্রতিরোধ অন্যতম।
এসডিজির এবারের সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর এ স্কোর ছিল ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে যখন এসডিজি গৃহীত হয়, তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।
এবারের তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ফিনল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরের চার দেশ হলো সুইডেন (৮৫.৬%), ডেনমার্ক (৮৪.৯%), জার্মানি (৮২.৫%) ও বেলজিয়াম (৮২.২%)। আর সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের স্কোর ৩৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে আছে দক্ষিণ সুদান ও চাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কোরের দিক দিয়ে যে তিন দেশের অবনমন ঘটেছে, সেগুলো হলো ভেনেজুয়েলা, টুভালু ও ব্রাজিল।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ৭০তম স্থানে আছে ভুটান। এরপর আছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ৭৯, ৮৭ ও ৯৬তম।