বাংলাদেশে তৈরি পণ্য দিয়ে বিশ্বজয়ের লক্ষ্য ওয়ালটনের। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটি হাতে নিয়েছে ‘ভিশন গো-গ্লোবাল ২০৩০’ কার্যক্রম। এ লক্ষ্য অর্জনে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সব খাতেই দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞগণ কাজ করছেন। এজন্য বিপুল বিনিয়োগ ও ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে ওয়ালটন। সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড পণ্য দিয়ে খুব শিগগিরই পুরো বিশ্বের মন জয় করে নেবে ওয়ালটন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর, ২০২১) ঢাকায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত ‘কোয়ালিটি কনফারেন্স- সিজন-২’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ‘বিশ্ব কোয়ালিটি ডে’ উপলক্ষ্যে ওই কনফারেন্সের আয়োজন করে ওয়ালটন কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ। এতে ওয়ালটন কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রকৌশলীরা বিভিন্ন পণ্যের মান উন্নয়ন কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও আলমগীর আলম সরকার, প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, চীফ টেকনিক্যাল অফিসার ই এম ইয়াং, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, তানভীর রহমান, তাপস কুমার মজুমদার, ফিরোজ আলম, আমিন খান, নিজাম উদ্দীন মজুমদার, আনিসুর রহমান মল্লিক ও ইউসুফ আলী, চীফ কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট অফিসার তাহসিনুল হক, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোজাহিদুল ইসলাম, শাহজালাল হোসেন লিমন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। এই পুরোটা সময় আমরা ইলেকট্রনিক্স শিল্পের জন্য পাই নি। মোটামুটি ১২ বছর পেয়েছি। এই স্বল্প সময়েই ওয়ালটন বাংলাদেশের সিংহভাগ মার্কেট নিজেদের করে নিয়েছে। ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। এ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য ওয়ালটনের উদ্যোক্তাগণের স্বপ্ন ও দূরদর্শীতা ছিলো। দেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের নিরলস প্রচেষ্টায় সেই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।
কোয়ালিটি বিভাগের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের লোগোতে ‘আই এম কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়টা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে একটি ম্যানেজমেন্ট। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে অমিত শক্তি ও সম্ভাবনা আছে। সেই শক্তি ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পণ্যে বিশ্বের সকল কোয়ালিটি ও স্ট্যান্ডার্ডের সমন্বয় করতে পারবো। ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড প্রোডাক্ট দিয়ে পৃথিবীর মানুষদের মন জয় করে নিতে পারবো।
তিনি জানান, চলতি বছর ১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। যেখানে গত বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ১.৪ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানির টার্গেট নেয়া হয়েছে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করবে ওয়ালটন। ওই সময়ে ওয়ালটনের লক্ষ্য ৭ বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন। সেটা করা সম্ভব হলেই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডের একটি হবে ওয়ালটন।
প্রতি বছর নভেম্বরের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি ডে উদযাপিত হয়। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘ওয়ালটন কোয়ালিটি ডে’ উদযাপন করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।