দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দামে আবারও শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আপাতত তাদের সেই দাবি মানছেন না বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির পর সিদ্ধান্ত হবে তেলের দাম বাড়বে না কমবে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের বড় সুবিধা তাদের ডিউটি স্ট্রাকচার আমাদের চেয়ে কম। আমাদের যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, সেখানে তারা ৫ শতাংশ দেয়। এসব বিবেচনা করে আমাদের দেখতে হবে। এজন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি একটু সময় দিতে। আমরা আগামী ৬ তারিখ, মানে ১৬ দিন পর বসে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াবো। কমানোর প্রয়োজন হলে কমাবো। সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয় সেটি করা হবে।
তবে আপাতত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজেরা নিজেরা কিছু দাম বাড়িয়েছিলো আমাদের না জানিয়ে। সেটাও তারা (ব্যবসায়ী) বলেছে কনসিডার করবে।
টিপু মুনশি বলেন, আজকের আলোচনায় তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বলেছি, এখন তেলের যে দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবো। এজন্য আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার সব দেখে ১৫ দিন পর বসে সিদ্ধান্ত নেবো। সামনে রমজান, রোজার ঈদও আছে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি তারা যেন স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করে।
এদিকে বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারিত আছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কথা উল্লেখ করে নতুন দাম কার্যকরের দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলো বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পরে সেটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায় মন্ত্রণালয়।