আবারও অস্থির পেঁয়াজের বাজার।
কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা।
গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকার বেশি।
নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতার।
সরবরাহ না থাকাকে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত পেয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকেই পেয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে।
দেশীয় পেয়াজ বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম ছিল স্থিতিশীল।
দাম নিয়েন্ত্রণে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি পবিত্র রমজানের আগে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সীমান্তবর্তী এলাকা বেনাপোলে এক লাফে পেয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০–৪০ টাকা। পেঁয়াজশূন্য হয়ে পড়েছে বাজার। আর এতেই নাভিশ্বাস অবস্থা ক্রেতাদের।
নেই কোনো বাজার মনিটরিং। স্থানীয়রা বলছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যাবসায়ীদের কারসাজিতে হঠাৎ করেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বেনাপোল নাভারণ শার্শাসহ স্থানীয় বাজারগুলোতে গতকাল ৭০–৭৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলেও শনিবার সকালে দাম গেছে বেড়ে। প্রতি কেজি দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০–১১০ টাকায়।
ভারতীয় পেঁয়াজ না আসাসহ বাজারে দেশীয় পেয়াজের সরবরাহ ঘটতি থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ফলে মোকাম থেকে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজ। সরবরাহ বাড়লে ও আমদানি হলে দাম কমে আসবে বলে জানান বিক্রেতারা।
বিক্রেতাদের দাবি বাজার মনিটরিং না করায় বাড়ছে দাম। এতে নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। প্রশাসনের নজরদারি চান তারা।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ৩ মাসের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার।
জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে