চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে এক দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে তিন দশমিক ৫৫ শতাংশ কম।
জুলাইয়ে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর পরিমাণ ১০ মাসের মধ্যে কম। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো এক দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স আসার এ তথ্য জানান।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো এক দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ের আগের মাস জুনে ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিলো দুই দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৩১ জুলাইতে ১২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এরপরও পুরো মাসে মোট রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারেনি। ২০২৪ সালে মার্চ ছাড়া সব মাসে রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। মার্চে এসেছিলো এক দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কোরবানি ঈদের পরের মাস এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কম এসেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতাকারীদের তাণ্ডবে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন রাত থেকে ব্র্যাডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইল ইন্টারনেট আগেই বন্ধ করা হয়েছিলো। পরে কারফিউ জারি করে সরকার। তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ইন্টারনেট ফিরলে এবং কারফিউ শিথিল হলে ২৪ জুলাই থেকে স্বল্প পরিসরে ব্যাংকের কাজ শুরু হয়। ব্যাংকাররা বলছেন, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ২৩ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসা বন্ধ ছিলো। ২৪ ও ২৫ জুলাই স্বল্প পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চললেও রেমিট্যান্স এসেছে খুবই কম।
জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে