• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০১৯, ০৩:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৬, ২০১৯, ১০:০৬ পিএম

ভিপিকে না জানিয়ে ডাকসুর স্টাফ নিয়োগের আবেদন

ভিপিকে না জানিয়ে ডাকসুর স্টাফ নিয়োগের আবেদন
ডাকসু ভবন -ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) স্টাফ নিয়োগের আবেদন করেছে ছাত্রলীগ মনোনিত ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেন। তবে ভিপি নুরুল হক নূরের দাবি, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ বরাবর করা এই আবেদনের বিষয়ে তাকে কিছুই জানানো হয়নি।

এর আগে, ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ডাকসুর জিএস ও এজিএসকে না জানিয়ে যখন ভিপি নিজেই এর প্রতিবাদ করতে আসেন তখন ছাত্রলীগ এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষুব্ধ হন। যদিও ভিপি নূরের দাবি, তিনি এস এম হলে যাওয়ার আগে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এই ঘটনার কয়েকদিন পরে ডাকসুতে স্টাফ নিয়োগে ভিপি নূরকে না জানানোয় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নূর বলেন, এই চিঠির কোনো যুক্তিযুক্ততা নেই। এটি অবৈধ।

তবে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর দাবি, নূর বিষয়টি জানেন। তিনি কেন এমনটা বলছেন তার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। 

জানা যায়, ডাকসুর বিভিন্ন পদে ৪ জন লোক কর্মরত আছে। এছাড়াও ১ জন সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, কমনরুম বেয়ারার ২ জন, ২ জন অফিস সহায়ক, এ্যাথলেটিক্স বেয়ারার ১ জন, গার্ড ২ জন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জন নিয়োগের আবেদন জানানো হয়। ওই আবেদনপত্রে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসাইনের স্বাক্ষর রয়েছে। 

এ বিষয়ে নুরুল হক নূর বলেন, এর আগে আইএমএলে চিঠি, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসন বরাবর তারা একাধিক চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আমি নির্বাচিত ভিপি হলেও এ বিষয়ে তারা আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। ডাকসুর স্টাফ নিয়োগে তাকে না জানিয়ে চিঠি দেয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত? এর বৈধতাই বা কি? 

এর আগে তিনি গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় ১৬ মিনিটে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লিখেন, ডাকসুতে বিভিন্ন পদে ৪ জন লোক কর্মরত রয়েছে। আমার জিএস, এজিএস সাহেব আরও ৯ জনের চাহিদাপত্র দিয়েছে। অথচ জানলাম না আমি! অবশ্য এইসব বিষয়ে বাম হাত/ডান হাত থাকে তো, চুপেচাপে করাই ভালো! কারণ অনিয়ম হলে বাধাটা এই ভিপিই দিবে। সুতরাং হামলা-টামলা, নাটক-ফাটক, ফন্দি-ফিকির করে ভিপিকে সরানো জরুরি হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, নূর বিষয়টি জানেন। কেন না আরেকটি পৃষ্ঠায় তার স্বাক্ষর রযেছে। তিনি পুরো বিষয়টি না দিয়ে শুধু একটি অংশ সংযোজন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করবো তিনি কেন এটা বলছেন।

এর আগে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জুনিয়র সকল কোর্সের আবেদন ফি কমানোর দাবিতে করা আবেদনেও নূরকে জানানো হয়নি। ছাত্রলীগ মনোনিত ডাকসুর তানভীর হাসান সৈকত এই আবেদনের উদ্যোক্তা। ভিপিকে না জানানোর বিষয়ে তখন তিনি বলেছিলেন, এটি ডাকসুর জিএস, এজিএসের ক্ষমতা বলে করা হয়েছিল।

একেএস