৩৬টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজাকে ওএসডি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই দুই কর্মকর্তাকে যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রেষণ প্রত্যাহার করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একই সময়ে অপর এক আদেশে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আহসান হাবীবকে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল খালেক সরকারকে সচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষাবোর্ডে প্রথম জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। এরপর ১৮ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলমের নামে মামলা করেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপকর্ম উল্লেখ করে তাকে অপসারণে চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর যশোর-২ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অ.) নাসির উদ্দিন ও যশোর-৬ আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডিও লেটার দেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি দেন বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।