• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২২, ১০:৫০ পিএম

করোনা আতঙ্কে হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

করোনা আতঙ্কে হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাবি হলের শিক্ষার্থীরাও। অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে। তাই আতঙ্কে নিজ থেকে হল ছাড়ছেন অনেক শিক্ষার্থী। ছেলেদের হলে শুধু আক্রান্তরাই হল ছাড়ছেন। তবে এর সংখ্যা কত তা জানা সম্ভব হয়নি। কারণ যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা না জানিয়েই বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) হল ছাড়া ছাত্রী ও হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, আগের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা বাড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তারা। এছাড়া হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত থাকাও তাদের হল ছাড়ার অন্যতম কারণ।

শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিমা ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা বাড়তে পারে, তখন যদি আবার লকডাউন বা অন্য কারণে না যেতে পারি তাই এখনই হল ছাড়ছি৷ তাছাড়া আমাদের পরীক্ষাও শেষ।

রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, হলের প্রায় প্রত্যেকটি রুমেই কোনও না কোনও শিক্ষার্থী অসুস্থ। হলের চেয়ে বাড়িতেই নিরাপদে থাকতে পারবো। যেহেতু অনলাইন ক্লাস হবে তেমন কোনও সমস্যা হবে না। এছাড়া এই ছুটি কতদূর পর্যন্ত গড়ায় সেটাও জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লাফিফা জামাল বলেন, হলে শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। পরীক্ষা করাচ্ছে। পজিটিভ হলে হল ছাড়ছে। অনেকে উপসর্গ নিয়ে হল ছাড়ছে। অনেকে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট আসার আগেই হল ছাড়ছে।  বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ১৫ দিন বন্ধ যে কেউ চাইলে বাসায় যেতে পারছে। তবে হল বন্ধের কোনও নির্দেশনা নেই এখনও।

রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, আমাদের হলের কোনও শিক্ষার্থী হল ছেড়েছে বলে এখনও জানি না। কয়েকজন  শিক্ষার্থী করোনা টেস্ট করতে দিয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি।

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হলে যদি তারা মনে করে বাসায় যাওয়া দরকার, তাহলে তারা যেতে পারে। তবে আমাদের নির্দেশনা হলো আক্রান্ত হলে আইসোলেশন থাকা। হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে আইসোলেশনের ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজনে পাশের হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সকল কিছু পর্যবেক্ষণে রাখছি।