ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী। তারপরও পরম মমতায় চলছে চিকিৎসা সেবা। যা নিয়ে সন্তুষ্ট রোগীরাও। এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন অনেকে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দুর্যোগে এমন ভালো উদাহরণ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।
করোনা সংক্রমণ রোধে সামনে সারিতে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। তবে এরই মধ্যে আক্রান্ত অনেকেই। যাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
১৯৫৪ সালে নির্মিত হলেও মাত্র কয়েকমাস আগে এই হাসপাতালে নির্মিত হয়েছে ১৫ বেডের আইসিউই ও ১৪ বেডের এইচডিইউ।
রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন ডাক্তার ও চারজন নার্স। তারাও চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানেই।
মাত্র আড়াইশো বেডের এই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে প্রায় ৬০০ পুলিশ সদস্য। এই রোগের সংক্রমণরোধে তাই নির্দিষ্ট দূরত্ব রজার রাখতে অনেকেই রাখা হচ্ছে আশে-পাশের বিভিন্ন ভবনে। অবস্থা খারাপ হলে আনা হচ্ছে এখানে।
যেখানে অন্যান্য হাসপাতালের সেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে সেবা নিয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে থাকা রোগীদের কোনও অভিযোগ নেই।
হাসপাতালটিতে মহানগরী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার পুলিশ সদস্যরা আসছেন, করছেন করোনা পরীক্ষা। প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিনশ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় আর ফলাফল মেলে রাতেই।
যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের বাধ্যতামূলক ভর্তি হতে হয়। যেসব রোগীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো তাদের ইচ্ছায় নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারছেন।
এসএমএম