টলিউডের সঙ্গে রাজনীতির যোগ দীর্ঘদিনের থাকলেও সরাসরি এই যোগ মূলত তৃণমূলের আমল থেকেই লক্ষ্য করা যায়। তৃণমূলের আমল থেকে মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে একাধিক তারকা সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন এবং অনেকেই প্রার্থী হয়ে টলি জগত থেকে সরাসরি বিধায়ক অথবা সাংসদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

আর এবার একুশের ভোটের আগে সরাসরি রাজনীতিতে টলি যোগ আরও ত্বরান্বিত হয়। রাজ চক্রবর্তী থেকে শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, যশ দাশগুপ্ত, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু তারকা অভিনেতা অভিনেত্রীকে সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে ও ভোটে প্রার্থী হতে দেখা গেছে।

টলিউড জগতে এই সকল তারকাদের অভিনয় নিয়ে কোনোরকম প্রশ্ন না থাকলেও অনেকের মধ্যে কৌতূহল এই সকল তারকা অভিনেতা অভিনেত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা। আর আমজনতার এই সকল কৌতূহলের উত্তর মিলেছে এই সকল তারকা প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্রের সাথে জমা করা হলফনামায়।

কৌশানী মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। এবার কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি হেরম্ব চন্দ্র কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে অনার্স করেছেন।

তৃণমূলের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী চন্ডিগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমেছেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া সদর থেকে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক।

চন্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশ দাশগুপ্ত। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সিবিএস‌ই থেকে সেকেন্ডারি স্কুল পরীক্ষা দিয়েছেন।

জুন মালিয়া মেদিনীপুর সদর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সিবিএস‌ই থেকে সেকেন্ডারি স্কুল পরীক্ষা দিয়েছেন।

কমেডি অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক উত্তরপাড়া থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হয়েছেন তিনি।

শ্যামপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কলা বিভাগে স্নাতক।

ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন রাজ চক্রবর্তী। নির্বাচনী হলফনামার তথ্যমতে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ।

খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চ্যাটার্জী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক পাশ করেছেন।

বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক হয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি বেশ আশাবাদী। আর বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হলো মাধ্যমিক পাস।