
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে প্রথম রোজা রেখেছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী। আজও সেই প্রথম রোজার কথা মনে পড়লে নস্টালজিক হয়ে পড়েন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ভাবেন, সেই দিনগুলো কতোই না মধুর ছিল।
মেহজাবীনের ছোটবেলা কেটেছে বিদেশে। সেখানে অনেক স্মৃতি থাকলেও বাংলাদেশের রোজার স্মৃতি তার কাছে বেশি আনন্দদায়ক। মেহজাবীন বলেন, “আসলে আমার শৈশব কেটেছে বিদেশে। সেখানে অনেক স্মৃতি আছে। তবে আমি বাংলাদেশে আসার পর থেকেই রোজার আনন্দ বলেন আর তৃপ্তি বলেন সেটা বেশি পেয়েছি। এখানে রোজার সামাজিকতার সংস্কৃতিটা দারুণ। পারিবারিক একটা সম্প্রীতিও দারুণভাবে মিশে থাকে রোজা পালনের মধ্যে৷ তাই বিদেশে কাটানো শৈশবের রোজাগুলো বলা চলে অনেকটাই সাদামাটা ছিল আমার কাছে। শৈশবের সবকিছু মিস করে মানুষ। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার। আমিও মিস করি।”
ছোটবেলা আর বড়বেলার রোজার পার্থক্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ছোটবেলার রোজা কাটতো স্কুলে। এখন রোজা কাটে কাজের ব্যস্ততায়। আগে শীত পেতাম। তখন সেহরি খাওয়ার অন্যরকম অনুভূতি ছিল। এখন গরমে রোজা রাখছি। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে৷ পার্থক্য আছে অনেক।”
সেহরি বা ইফতারে তেমন কোনো প্রিয় খাবার নেই মেহজাবীনের। তিনি বলেন, “সেরকমভাবে বিশেষ কোনো খাবার নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। যখন যা পাই হাতের নাগালে তাই খাওয়ার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্যের জন্য ফিট যে কোনো খাবার। সুস্থভাবে রোজা রাখতে পারছি এটাই স্বস্তির।”
মেহজাবীন মনে করেন, করোনা সবকিছু বদলে দিয়েছে। করোনার কারণে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে মিলেমিশে ইফতার করার দিনগুলো মিস করেন তিনি। এদিকে চলমান লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মেহজাবীন।