• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৫, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম

‘নগরের নটী’ বলায় ক্ষেপেছেন টলি নায়িকারা

‘নগরের নটী’ বলায় ক্ষেপেছেন টলি নায়িকারা

সদ্য শেষ হওয়া পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন টলি তারকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার ও তনুশ্রী চক্রবর্তী। তাদের নিয়ে আশাও ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু ভোটের ফলাফলে সেই আশার প্রতিফল ঘটেনি। হেরে বসেন তিনজনই। 

তাদের এই হার সহ্য করতে পারছেন না বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাদের নির্বাচনে টিকিট দেওয়ায় ক্ষেপেছেন বিজেপির নীতিনির্ধারকদের ওপর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ওই তিন নায়িকাকে ‘নগরের নটী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয় তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানও তার এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। বামফ্রন্ট সমর্থক শ্রীলেখা মিত্রও প্রতিবাদ করেন। 

নুসরাত জাহান বলেন, “আমি বরাবরই বলে এসেছি বিজেপি নারীর প্রধান শত্রু। এই দল কখনোই নারীকে সম্মান করতে পারেনি, পারবেও না। মেয়েদের ওরা এভাবেই দেখে। তাদের যে সম্মান করা উচিত, সেই শিক্ষাটাই ওদের মধ্যে নেই। সেজন্যই যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিমবঙ্গে রোমিও স্কোয়াডের কথা বলতে পেরেছিলেন।”

May be an image of 3 people and people standing

ঠিক নুসরাতের মতো ঝাঁঝালো ভাষায় না বললেও নিজ দলীয় বর্ষিয়ান নেতাকে শ্রাবন্তী বলেন, “তিনি দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে আছেন। তার কথা শুনেছি। তবে আমার মনে হয়, এই ধরনের মন্তব্য করার আগে বিষয়টি জেনে নেয়া উচিত ছিল।” 

তিনি আরও বলেন, “তিনি (তথাগত) বলেছেন, আমরা ভোটের টাকায় কেলিয়ে বেড়িয়েছি। তার এই মন্তব্যের কোনো প্রমাণ কি কারো কাছে আছে? যদি থাকে তবে তা দয়া করে সামনে আনুন। তারপর অভিযোগ করুন।”

শ্রীলেখা প্রশ্ন রেখে বলেন, “ওরা জানত না বিজেপির নারীদের কোন চোখে দেখে, যোগ দিতে গিয়েছিল কেন? নিজেদের অপমানের পথ নিজেরাই তৈরি করেছেন।” 

May be an image of 13 people, people standing and indoor

এর আগে শ্রীলেখা দাবি করেছিলেন, বিজেপিতে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে যোগ দিয়েছেন তারকারা। যে মন্তব্যের পর অভিনেত্রীকে গেরুয়া শিবিরের তারকাদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছে। তবে বিজেপি নেতা তথাগত রায় খোদ যখন অভিযোগ তুলেছেন যে, নায়িকারা নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে ভোটে হেরেছেন তখন তো তার কথার সত্যতা প্রমাণ হয়েই যায়।