একসঙ্গে ছয়টি সিনেমায় যুক্ত হওয়া, আবার একটি সিনেমা সম্পন্ন করার পর বাকি পাঁচটি থেকে বাদ পড়া; প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির সম্পর্কের গল্পটা এরকম। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি।
শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া দীঘি নায়িকা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন গত মার্চ মাসে। সিনেমার নাম ছিল ‘তুমি আছো তুমি নেই’। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত সিনেমাটি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল এবং ব্যবসায়িকভাবে পুরোপুরি ব্যর্থ।
অন্যদিকে শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় দীঘি কেবল ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পরে কোনো এক কারণে বাকি পাঁচটি সিনেমা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।
তবে শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে দীঘির সেই দূরত্ব কমেছে। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন দীঘি। সেখানে তিনি জানান, শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানই তাকে সুযোগ করে দিয়েছেন সিনেমায়।
আর দীঘির এমন স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্ট হন সেলিম খান। তিনি বলেছেন, ‘দীঘির উপর আমার আর কোনো রাগ নেই। ও স্বীকার করেছে আমি ওকে সুযোগ দিয়েছি৷ ও ভুল বুঝতে পেরেছে। আমি ওর কথায় সন্তুষ্ট।’
দূরত্বের বরফ গলে গেছে। তাহলে কি শাপলা মিডিয়ার নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন দীঘি? অচিরেই হয়ত এ প্রশ্নের জবাব মিলবে।
উল্লেখ্য, অভিনেতা সুব্রত ও প্রয়াত নায়িকা দোয়েলের কন্যা দীঘি। তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো ‘চাচ্চু’, ‘দাদীমা’, ‘এক টাকার বউ’, ‘কাবুলিওয়ালা’ ইত্যাদি।
জাগরণ/এমএইচ