“আমাদের দৃষ্টিতে বিরাট বড় অপরাধী না সে (পরীমণি)। তুমি একটা আর্টিস্ট, তুমি কেন রাত ১২টায় ক্লাবে যাবে? আমাদের চলচ্চিত্র কেন্দ্রিক পরীমণির তো কোন ঘটনা ঘটেনি। শুটিং করতে গিয়ে হয়নি, ডাবিং করতে গিয়ে হয়নি। এমনকি কোন প্রযোজকের সঙ্গেও এমন কিছু হয়নি। যার সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে তারা আমাদের চলচ্চিত্রের কেউ না।”
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমণি সম্পর্কে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
তিনি বলেন, “এক হাতে তালি বাজে না। তবে প্রথম দোষটা আমি ওকেই (পরীমণি) দিবো। তুমি এক্সেপ্ট করো কেন তাকে? তুমি রাত ১২টা সময় কেন যাবা? কেন মদ খাবা? যারা আসছে তারাও খারাপ, যার কাছে আসছে সেও খারাপ।’
এই নির্মাতা আরও বলেন, “ছোট গর্তের মধ্যে একটা মাছ ছোট থেকে বড় হলে সেই মাছটি যদি পুকুরে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে মাছটি অনেক জোরে জোরে দৌড়ায়। মাছটিকে নদীতে ফেললে দৌড়াতে দৌড়াতে হয়রান হয়ে কানটা উঁচু করে শ্বাস নিতে থাকে। ওর (পরীমণি) এই অবস্থা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এতকিছু হয়ে যাওয়াতে বোধহয় নিজেকে সামলাতে পারেনি।”
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘পরীমণি যত বছর ধরে চলচ্চিত্রে আছে সে অনুযায়ী যে বাড়ি, গাড়ি, টাকা-পয়সা, ৪-৫টা করে গরু জবাই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তো এত টাকা আসার কথা না। এগুলো কোথায় থেকে এসেছে, মানুষ তো প্রশ্ন করবেই। দোষটা তারই।’
জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন পরীমণি। দেশের সব অভিজাত ক্লাবের সদস্যদের রেফারেন্সে তিনি বিভিন্ন ক্লাবে যাতায়াত করেন। তারকা হোটেলের বারেও তার যাতায়াতের রেকর্ড রয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে চিত্রনায়িকা পরীমণি, মডেল পিয়াসা, মৌ, প্রযোজক নজরুল রাজসহ বেশ কয়েকজন আটক হওয়ার পর অনেকেই শোবিজের মানুষদের দিকে আঙুল তুলছে। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পুরো শোবিজের মানুষের নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে খুবই বাজে ধারণা জন্মেছে।