টালিউডের এ প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী বিয়ে করছেন। পাত্রের নাম তথাগত চট্টোপাধ্যায়। আগামী ডিসেম্বরেই বাগদান করবেন তারা। এরপর কয়েক মাস লিভ-ইন করে গাঁটছড়া বাঁধবেন এ জুটি। মাস দুয়েক আগেই গুঞ্জনটি ছড়িয়েছিল। আগে অস্বীকার করলেও অবশেষে গণমাধ্যমের কাছে ঋতাভরী খবরটি স্বীকার করেছেন।
অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস বিষাদগ্রস্ত ছিলেন তিনি। ওই সময়েই তথাগতর আগমন ঘটে ঋতাভরীর জীবনে। যদিও এর আগে মুম্বাইয়ের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল তার। তবে শারীরিকভাবে কাছাকাছি না থাকায় সে প্রেম টেকেনি বলে জানিয়েছেন ঋতাভরী । তার ভাষ্য, ‘ওই পরিস্থিতিতে আমার পাশে কাউকে খুব দরকার ছিল।’
তথাগতর সঙ্গে পরিচয়ের ঘটনা জানিয়ে ঋতাভরী বলেন, ‘এ বছরের প্রথম দিকে ওর ক্লিনিক উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। ও পেশায় একজন মনোবিদ। সে সময়ে ওরও অন্য বান্ধবী ছিল। আমরা প্রথমেই খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। অবশ্যই বলতে হবে, বাঙালি ছেলেকে ডেট করার অন্য আরাম আছে। বাংলায় কথা বলা যায়। সেই সঙ্গে রুচি, শিল্পবোধ এ সবের মিল তো রয়েছেই।’
প্রেমিকের সঙ্গে বাইরে খুব কমই ডেট হয়েছে ঋতাভরীর। তার বাসাতেই তথাগত আসতেন বলে জানালেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘সে অর্থে ডেট করা অর্থাৎ দেখা করা, কফি খেতে যাওয়া; এ সব আমাদের হয়নি বললেই চলে। যখন ওকে ভাল করে চিনতে শুরু করেছি, তখন আমি শয্যাশায়ী। দ্বিতীয় সার্জারির পরে ও আমার বাড়িতেই আসত দেখা করতে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি আমরা কাছাকাছি এসেছিলাম। ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করলাম, আমিও কারও ওপর নির্ভর করতে পারি।’
বিয়ের আগে কিছু দিন একসঙ্গে থাকতে চান ঋতাভরী। এটাই ছিল তার প্রথম শর্ত। এ জন্য দুই পরিবারকেই মানিয়ে নিতে হয়েছে তাদের। অভিনেত্রী বলেন, “সত্যি বলতে, এর আগে কাউকে দেখে মনে হয়নি, তার সঙ্গে সংসার করতে পারব। তবে আমার কিছু বলার আগেই হঠাৎ একদিন ও-ই বলল, ‘তুমি পাশে থাকলে তোমার প্রতি কেমন যেন বউ বউ ফিলিং আসে।’ আমার একটাই শর্ত ছিল, যাকে বিয়ে করব, বিয়ের আগে তার সঙ্গে কিছু দিন থাকতে চাই। কিন্তু দুই বাঙালি পরিবার ব্যাপারটাকে কী ভাবে নেবে জানি না। তাই ঠিক হল, এ বছর ডিসেম্বরে বাগদান করে আমরা একসঙ্গে থাকব আমার বাড়িতে। কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হলে পরের বছর বা তার পরের বছর জাঁকজমক করে বিয়ে করব। বিয়ের পরে অবশ্য সল্টলেকেই নতুন একটা বাড়িতে থাকব, যেটা আমাদের দু’জনের বাড়ি থেকেই কাছে হবে।”
জাগরণ/এমএইচ