• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম

অশ্লীলতার সময় প্রযোজকরা কোটি টাকা কামিয়েছে

অশ্লীলতার সময় প্রযোজকরা কোটি টাকা কামিয়েছে

ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের একসময়ের পরিচিত মুখ ছিলেন  নাসরীন। ২৮ বছর ধরে অভিনয়ের পরে শেষমেষ খেতাব পান অশ্লীল নায়িকা হিসেবে। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে পুরোপুরি বানিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত হয়েছিলেন বলে দেশিয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই নায়িকা।

নব্বই দশকে নায়ক-নায়িকারা যতটা জনপ্রিয় ছিলেন তার চেয়ে কম পরিচিত ছিলেন না অভিনেত্রী নাসরিন। রুপালি পর্দায় এই অভিনেত্রীর অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে ‘অগ্নিশপথ’ ছবির মাধ্যমে। তারপর কৌতুক অভিনেতা টেলিসামাদের সঙ্গে জুটি হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে দিলদারের জুটি হিসেবে নাসরিনের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।
 
তবে অশ্লীল তকমা নিতে নারাজ। কারণ যখন যে জোয়ার আসে তাতে অনেক সময় অভিনয় শিল্পীদের কিছু করার থাকে না। এমনটাই বিশ্বাস এই নায়িকার। সম্প্রতি কথা বলেছেন তার ক্যারিয়ার নিয়ে। সেখান থেকে চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

প্রতি বছরই তিনি কোরবানি দিতেন, গরিব ও অসহায়দের সাহায্য করতেন। কিন্তু গত তিন বছর ধরে কোরবানি দিচ্ছেন না নাসরিন। কেন দিচ্ছেন না তা তিনি জানাননি। প্রথমে ডিপজলের সঙ্গে গান করত চাননি তিনি। ‘কুত কইরা দিমু’ গানটি ভালো লাগেনি নাসরিনের। পরে ডিপজলের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তিনি গানটিতে কাজ করেন।

স্মৃতিচারণ করতে করতে এক সময় নাসরিন বলেন- শুধু মাত্র চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে অনেক পরিচালক, অভিনিয় শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা মুড়ি খেয়ে থেকেছে। মুখ ফুটে কখনোও কিছু বলেনি। কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার শুটিংয়ে সালমান ভাই আমাকে মুটকি বলায় আমি তাকে ঢিল মেরেছিলাম, তখন আমি উনাকে চিনতাম না। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে শাবনাজের নায়িকা থাকার কথা। শিডিউলের কারণে মৌসুমিকে নিয়েছে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।

শুরুটা হয়েছিল দিলদার ভাইয়ের সঙ্গে তাই আমাকে কেউ নায়িকা হিসাবে নিতে চাইতো না। অনেক নায়ক বলতো ও তো দিলদারের নায়িকা ওর সঙ্গে অভিনয় করবো না। ওর সঙ্গে অভিনয় করলে আমার ক্যারিয়ারের সমস্যা। অভিনয় জীবনে আমাকে কেউ খারাপ করতে পারেনি। দীর্ঘ ২৮ বছরে আমি কারও সঙ্গে আপোষ করিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে জোর করে কিছু হয় না।

আইটেম গানগুলো আমি করতে চাইতাম না। আইটেম গান করতাম শুধু একটাই কারণে, আমি বসুন্ধরায় ফ্লাট কিনেছিলাম। সেই টাকা আমি কিস্তিতে পরিশোধ করতাম। একটানা ২০ বছর আইটেম গানে কাজ করে কখনও ১৫-২০ হাজারের বেশি সম্মানী পাইনি। অশ্লীলতার সময় প্রযোজকরা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা কাজ করেছি।

আমার ধ্যান-জ্ঞান সব কিছু চলচ্চিত্র। আমাকে কোটি টাকা দিলেও আমি এটা ছাড়তে পারব না। সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি আমি শিল্পী, আমার কাজ আগে।

বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না। আমি ছেলেদের প্রতি বিরক্ত ছিলাম। পরে ওকে (রিয়েল) ভালো লাগে। দেখলাম ওর সঙ্গে আমার সব কিছু মিলে যায়, আমি যা চাই ও আসলে সেরকম, পরে আমি ওকে বিয়ে করতে চাই এবং ২০১২ সালে আমরা বিয়ে করি, এখন আমি দুই সন্তানের মা।

বর্তমানে হাতে তেমন কাজ নেই। সম্প্রতি একটি কাজ করেছি আনান্দ-অশ্রু সিনেমায়। আইটেম গানে আর কাজ করবো না। আমার এখন দুইটা বাচ্চা আছে। এখন আইটেম গান করা অসম্ভব।