ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনির বনানীর বাসা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাড়ে ১৮ লিটার মদ জব্দ করার কথা জানিয়েছিল র্যাব। এবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে জানা গেল নতুন তথ্য।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নায়িকার বাসা থেকে জব্দকৃত তরলের বড় অংশই ছিল পানি। আর অ্যালকোহলের পরিমাণ ছিল ১১ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। যদিও মামলায় এর কয়েক গুণ অ্যালকোহল থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
আদালত সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে। পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছরের ৪ আগস্ট রাতে বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করা হয় পরীমনিকে। পরদিন ৫ আগস্ট বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয় পরীর বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনির জিম্মা থেকে আট বোতল জনি ওয়াকার প্লাটিনাম লেবেল ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি, তিন বোতল জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি, দুই বোতল শিভাস রিগ্যাল ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি, দুই বোতল দ্য গ্লেন লিভেট, একটি বোতলে গ্লেনফিডিক এবং দুটি বোতলে ফক্স গ্রোভ জব্দ করা হয়। এসব পানীয়র বোতলের গায়ে অ্যালকোহলের মাত্রা লেখা ছিল ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত।
এরপর জব্দ হওয়া আলামত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সিআইডি সাতটি বোতলে রাখা তরল পদার্থ পরীক্ষা করে মতামত দেয়। এগুলোয় ১৪ দশমিক ২, ১২ দশমিক ৬, ১১ দশমিক ৭, ১২ দশমিক ১, ১৫ দশমিক ২ ও ১১ দশমিক ২ শতাংশ অ্যালকোহল পাওয়া গেছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বিদেশি মদপানের অনুমতি নিয়েছিলেন। এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে তিনি আর এর মেয়াদ বাড়াননি। অভিনেত্রী কবে এই মদ কিনেছিলেন, অভিযোগপত্রে তার উল্লেখ নেই।
ইউএম