• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ০১:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ০১:২৬ পিএম

যে কারণে স্বামীর হাতে খুন হলেন চিত্রনায়িকা শিমু

যে কারণে স্বামীর হাতে খুন হলেন চিত্রনায়িকা শিমু

গেলো সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫)বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিমুকে হত্যা করার অভিযোগে তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এদিকে শিমুর মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে হত্যার তীর যায় চিত্রনায়ক জায়েদ খানের দিকে। তবে জল বেশি দূর গড়ানোর আগেই ফাঁস হয় হত্যা রহস্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শিমুর খুনি। সম্পর্কে যিনি এই অভিনেত্রীর স্বামী। প্রথমে শিমুর স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকায় শিমুকে হত্যা করেছেন বলে জানায় নোবেল। আর হত্যার পর লাশ গুমের জন্য তার বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

শিমু হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, 'শিমুর সাথে গত দুই বছরে আমার দেখা বা কথা হয়নি। আর এখন যা দেখছেন তা হলো সামনে ৩-৪ জনকে রেখে পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন অন্য কেউ। আমি দুই টার্ম নির্বাচিত হয়েছি, আমার সাফল্য অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। শিমুর হত্যাকারীকে যদি র‍্যাব আজকে না ধরতো তাহলে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন হতো এফডিসিতে। আমার কি হইতো খালি চিন্তা করেন একবার! আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই র‍্যাব ও পুলিশকে।'

প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শিমুর ১৯৯৮ সালে সিনেমায় অভিষেক হয়। তিনি প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি একটি টিভি চ্যানেলের মার্কিটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। শিমু চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারানো ১৮৪ জনের মধ্যে একজন। তিনি ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছিলেন।