বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা বিএফডিসি হলো সিনেমার প্রতিষ্ঠান। যুগ যুগ ধরে এখানে সিনেমা নির্মিত হয়ে আসছে। ঢাকাই সিনেমার মূল কেন্দ্রই হলো এই এফডিসি। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে সেই পরিবেশ আর অবশিষ্ট নেই। এখন এখানে দেখা যায় ভোট আর চেয়ার দখলের লড়াই।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পুনরায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এফডিসি আঙিনা। বিক্ষুব্ধ শিল্পীরা আন্দোলন করছেন। কেউ কেউ খালি গায়ে ‘নিরপেক্ষ বিচার চাই’ স্লোগান লিখেও সামিল হয়েছেন প্রতিবাদে।
বিক্ষুব্ধ শিল্পীরা জানান, তাদের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন জায়েদ খান। সেই পদ তারা ফেরত চান। একইসঙ্গে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে অপসারণের দাবিও তুলেছেন তারা।
একজন নৃত্যশিল্পী ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘আমাদের সাথে অন্যায় করেছে জায়েদ। ২০ বছর ধরে এফডিসিতে আছি। প্রায় ১০০টি সিনেমায় কাজ করেছি। আমার মতো শিল্পীকেও সে বঞ্চিত করেছে। আমি ওর বিচার চাই। ওকে আমি অভিশাপ দিচ্ছি।’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জটিলতা অবসানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব পেয়েছে নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এজন্য আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকের উপস্থিত থাকার কথা।
যদিও জায়েদ খান আগেই জানিয়েছেন, তিনি এই বৈঠকে অংশ নেবেন না। তার দাবি, নির্বাচনের ভোট পুনর্গননার পর আপিল বোর্ডের মেয়াদ শেষ। তাই তিনি এই বোর্ডের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। এখন দেখার পালা, সব কিছু শেষে আপিল বোর্ড কী সিদ্ধান্ত দেয়।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নায়িকা নিপুণ। তিনি মাত্র ১৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। তবে ভোটের পর নিপুণ দাবি করেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জায়েদ টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। এছাড়া নির্বাচনে জেতার জন্য অপকৌশল অবলম্বন করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন নিপুণ। সেই অভিযোগেরই সুরাহা হওয়ার কথা আজ।
ইউএম