• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২২, ০৭:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৬, ২০২২, ০৭:১৫ পিএম

এবার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন ডিপজল

এবার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন ডিপজল

দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্বহীন চলচ্চিত্রের মাদার সংগঠন চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি। আগামী ২১ মে সংগঠনটির নির্বাচন হবে। এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি যে প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন সেই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়বেন আলোচিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান।

ডিপজলের জানান, 'চলচ্চিত্রের মাদার অর্গানাইজেশন হচ্ছে প্রযোজক সমিতি। প্রযোজকরা অর্থ লগ্নি করলে সিনেমা নির্মিত হয়, না করলে হয় না। প্রযোজকদের এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রশাসক দিয়ে চালানো হয়েছে। এখন এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। নির্বাচন হবে। আমি এবারের নির্বাচনে সেলিম খানকে সভাপতি করে নির্বাচন করব।'

তার ভাষ্য, 'বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা দুজনই বর্তমানে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্যদের যেভাবে এগিয়ে আসা বা সিনেমা নির্মাণ করার কথা তারা সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। সমিতির ৫০ জন সদস্যও যদি বছরে একটি করে সিনেমা নির্মাণ করতো তাহলে বছরে অন্তত ৫০টি সিনেমা দর্শক পেত। চলচ্চিত্রের আজকের এই দুরবস্থার সৃষ্টি হতো না। এ উদ্যোগটি কেউই নিচ্ছে না। আমি এবং সেলিম খান দুজনে মিলেই কমপক্ষে ৫০টি সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্যরা এগিয়ে এলে সংখ্যাটি আরও বাড়ত। তাহলে চলচ্চিত্র গতি পেত এবং সিনেমা হলও বন্ধ হতো না।'

তিনি যোগ করেন, 'আমরা দুজন নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চলচ্চিত্রকে গতিশীল করার জন্য। আমরা চলচ্চিত্র থেকে নিতে আসিনি, দিতে এসেছি। চলচ্চিত্র না বানালেও আমাদের কিছু যায় আসতো না। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। তারপরও ভালোবেসে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে যাচ্ছি। প্রযোজক সমিতি যদি গতিশীল হয়, তাহলে এর নেতৃত্বে চলচ্চিত্রের বর্তমান দৈন্যদশা কাটানো সম্ভব। অন্য প্রযোজকদের উৎসাহ দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আনা যাবে। আমরা নির্বাচিত হলে এই উদ্যোগটা নেব। প্রযোজকরা যাতে সিনেমা নির্মাণ করে, লোকসানের ভয়ে না থাকে, লাভ করতে পারে- এমন পরিবেশ সৃষ্টি করব। সিনেমা হল মালিকরা যাতে সিনেমার অভাবে হল বন্ধ করে না দেয় এবং যেসব হল বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো খোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।'

ডিপজল বলেন, 'সিনেমা থেকে আমার ও সেলিম খানের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমরা চাই, একের পর এক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়ে হলমুখী করতে। সিনেমার বাজার ফিরিয়ে আনতে। সমিতির অন্য সদস্যদের উৎসাহ দিয়ে চলচ্চিত্রকে চাঙ্গা করতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।'

এদিকে প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে ডিপজল ও সেলিম খানের অংশগ্রহণের খবরে চলচ্চিত্রের লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, এ দুজন এবং তাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে চলচ্চিত্র খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। শিল্পী ও কলাকুশলীরা আবার কর্মমুখর হয়ে উঠবে। তাদের বেকারত্ব ঘুচবে।

তারা বলছেন, ডিপজল ও সেলিম খান কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তারা একের পর এক সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন।

২০০৬ সালে চলচ্চিত্রের চরম অশ্লীল সময়ে ডিপজল কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, মায়ের হাতে বেহেশতের চাবি’র মতো একের পর এক সিনেমা বানিয়ে চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। এসব সিনেমা চলচ্চিত্র থেকে অশ্লীলতা দূর করতে মূল ভূমিকা পালন করে।

অন্যদিকে, সেলিম খান চলচ্চিত্রে এসে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। তিনি ১০০ সিনেমা নির্মাণের মেগা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২ মার্চ বিএফডিসির জহির কালার ল্যাবের ভিআইপি প্রজেকশন হলে এক জরুরি বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচন বোর্ডের সদস্য হিসেবে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমান ও মো. আমিনুল ইসলাম।
ইউএম