ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান নিখোঁজ! এমন পোস্টারেই সয়লাব হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা। ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বের জেরেই এই ধরনের পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েতটি বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত।
সোমবার এই পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এবং চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোন পোস্টারের নিচে লেখা সাধারণ জনগণ, আবার কোনটায় লেখা প্রতারিত জনগণ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, ঘটনাটি নুসরাতের উপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই প্রসঙ্গে দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বসিরহাটের সংসদ সদস্য ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়নসহ সব কাজে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা তাকে কাছে পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সংসদ সদস্যকে পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সেই কারণেই এলাকার মানুষ এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে।
তবে বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের দাবি, এটা বিরোধীদের কাজ। কোনও ইস্যু না থাকার কারণেই বিরোধীরা এই ধরনের কুৎসা রটাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে নুসরাতের ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।
তৃণমূলের চাপাতলা অঞ্চলের সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যারাই কাজটি করুক না কেন, অন্যায় কাজ হয়েছে।
ইউএম