বিয়ের পর থেকেই কোনো রকম শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় ইচ্ছুক নন স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী। উল্টো নেটমাধ্যমে তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওড়িয়া সাংসদ-অভিনেতা অনুভব মোহান্তি।
মোহান্তির স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনীও ওড়িশার খ্যাতনামা অভিনেত্রী। অবশেষে নিষ্পত্তি হতে চলেছে সেই মামলার।
কটকের অতিরিক্ত জেলা বিচারক ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিজেএম) আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন অনুভব। বিচারক বর্ষাকে দু’মাসের মধ্যে অনুভবের পৈতৃক বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। অপর দিকে অনুভব মোহান্তিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি মাসে বর্ষাকে ৩০ হাজার টাকা খোরপোষ দেওয়ার জন্য।
অন্য একটি পিটিশনে অনুভব বর্ষার আয়ের উৎস প্রকাশের দাবিও করেছিলেন। গত সপ্তাহে শুনানি শেষ হলেও, এখনো পর্যন্ত রায়দানে বিরত রয়েছে আদালত।
কয়েক দিন আগে, অনুভব নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে অনুভব অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালে বিয়ে করলেও বর্ষার সঙ্গে তার কোনো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ছিল না। ভিডিওতে, অনুভব আরো দাবি করেন যে, তিনি বিচ্ছেদের যে আবেদন করেছেন, তাতে শুধু একটিই কারণ উল্লেখ করেছেন, বিবাহের অ-সম্পূর্ণতার। কারণ তার স্ত্রী আজ পর্যন্ত তাকে ‘স্বামীর বৈবাহিক অধিকার’ দেননি।
স্বামী হয়ে কত দিন তিনি বিষয়টি ‘সহ্য করবেন তা আদালতের উপর নির্ভরশীল’ বলেও জানান অনুভব।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য জাল অ্যাকাউন্ট এবং ফ্যান পেজ চালানোর অভিযোগও করেছেন অনুভব। নেটমাধ্যমে নিজের প্রোফাইলের মাধ্যমে অনুরাগীদের এই ফাঁদে না পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
ওড়িয়া চলচ্চিত্রের অভিনেতা অনুভব, ওড়িশার শাসক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর প্রার্থী হিসাবে ২০১৩ সালে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে স্ত্রী বর্ষার বিরুদ্ধে প্রথম আদালতে যান তিনি। পাল্টা অভিযোগ করেন বর্ষাও। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে পুলিশ ও ওড়িশা হাইকোর্টে অভিযোগ জানান অভিনেত্রী।