এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে রণে ক্ষান্ত দিয়ে হেরে গেলেন সংগীতশিল্পী নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। তার প্রস্থানে শোক নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শিল্পীর পরিবার সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন জুয়েল। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতিরও খবর আসছিল। কিন্তু আর ঘরে ফেরা হলো না।
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই শিল্পী ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন দেশ ও বিদেশের চিকিৎসা সহযোগিতায়। অবস্থার খুব অবনতি হলে চলতি মাসের ২৩ জুলাই রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মাঝে ২৫ জুলাই খানিক উন্নতির খবর পাওয়া যায়।
১৯৯৩ সালে আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ দিয়ে বাজিমাত করেন জুয়েল। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।
জুয়েলের আরও একটি বড় পরিচয়, টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেছেন অনেক অনুষ্ঠানে।
জাগরণ/দেশেরবিনোদন/সঙ্গীত/এসএসকে