ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বৃহস্পতিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকাল থেকে রাজধানীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সকাল ৬টার দিকে এটি উত্তর ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ড এলাকায় অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলায় এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাতাসের চাপ বেশি থাকায় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।