• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২১, ১১:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১, ২০২১, ০২:২০ পিএম

বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

রাজধানীতে ভোর থেকে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এলাকার অলিগলিসহ প্রধান সড়কগুলোতেও জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (১ জুন) ভোর থেকেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজে ছুটে চলেছে মানুষ। কিন্তু বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতায় নাজেহাল হয়েছে রাজধানীবাসী।

ব্যস্ততম কর্মমুখর জীবনে গরমে অস্বস্তিবোধ হলেও ঝুম বৃষ্টি কিছুটা প্রশান্তি আনে। কিন্তু সড়কে জলাবদ্ধতা, যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়ায় এই বৃষ্টিই যেন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খিলগাঁও, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, বাংলামোটর, বাড্ডাসহ বেশ কিছু স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। তবে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা হলেও পানি ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নেমে যায়।

রাজধানীর বনশ্রী থেকে ফার্মগেট যাওয়া যাত্রী ইরিন হক বলেন, “অফিসের জন্য বের হয়েছি। কিন্তু যাব কীভাবে? রিকশা, সিএনজি অনেক ভাড়া চাচ্ছে, বাস আছে, তবে পানি জমে গেছে কাউন্টার পর্যন্ত হাঁটাও অসম্ভব।”

মালিবাগ এলাকায় ছাতা মাথায় বাজারে যাওয়া মো. রফিক বলেন, “এলাকায় সংস্কারের কাজ হলেও ড্রেন, নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। জলাবদ্ধতাও প্রতিবছরেরই সমস্যা। নিয়মিত পরিষ্কার করলে রাজধানীবাসী এর থেকে মুক্তি পাবে।”

মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পথচারীরা হাঁটুপানি পেরিয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন। বিভিন্ন ভ্যানে করে পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। যানবাহনগুলোর চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতরে পানি ঢুকে মাঝপথে বন্ধও হয়ে গেছে। এতে যানজটও সৃষ্টি হয়েছে।  

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে মেঘের গর্জন। কিছুক্ষণ পরই আকাশভাঙা বৃষ্টিতে ভিজে যায় পুরো রাজধানী। তীব্রতা বেড়ে মুষলধারে শুরু হয় বৃষ্টি। টানা চলে ঘণ্টাখানেক।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৯ মিলিমিটার। তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে কয়েকটি স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকটি স্থানে এবং খুলনা, ঢাকা ও সিলেটের কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া লঘুচাপের কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত এগিয়ে আসতে পারে।

চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার ও খুলনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার। এছাড়া দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলে সামান্য থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬১ মিলিমিটার।