সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর ও কুড়িগ্রাম এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এসব জেলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানির কারণে বিভিন্নভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের মেঘালয় ও আসামে ক্রমাগত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
শনিবার (১৯ জুন) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, গত ১২২ বছরে সিলেট-সুনামগঞ্জে এত ভয়াবহ বন্যা কেউ দেখেনি। ১৬ এবং ১৭ জুন- দুইদিনে প্রায় ৮ ফুট পানি বেড়েছে ওই অঞ্চলে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিস্তর অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সিলেটের প্রায় ৮০ ভাগ আর সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ ভাগ জায়গা তলিয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সবাইকে উদ্ধার করা এবং আশ্রয় কেন্দ্রে মানবিক সহায়তা দেয়া। সে অনুযায়ী আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের মাঠ প্রশাসন ১৬ জুন থেকে কাজ করছিলো। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৭ জুন থেকে সেনাবাহিনী এবং নৌ-বাহিনী ও কোস্ট-গার্ড ১৮ জুন থেকে কাজ শুরু করেছে।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এবং সেচ্ছাসেবীরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
আশ্রয়কেন্দ্রে কি পরিমাণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন তা জানাতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জের ৩৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সিলেটে ৩০০ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ।
জাগরণ/পরিবেশ/বন্যাপরিস্থিতি/এসএসএকে/কেএপি