চলতি মাসে ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক রোগী রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে জুলাই মাসের ৬ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৩ জন। এ বছর জুনে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার পর নানা পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই সিটি করপোরেশন। তবে তা কেবল লোক দেখানো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৮৮ জন। তবে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় মৃতের সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়েনি বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা সচতেনতা সৃষ্টিতে সিটি করপোরেশন ব্যর্থ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীজুড়ে এখন একটি আতঙ্কের নাম- ডেঙ্গু। কেবল সরকারি হিসাবেই চলতি বছরে এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৮৮ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ আর হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি থাকায় মৃতের সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়েনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর হলি ফ্যামিলিতে ১৬, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৫, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৪, ঢাকা মেডিকেলে ১১ ও মিডফোর্ডে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের বেশিরভাগই মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের কমপ্লিকেশন কম হচ্ছে। যাদের আগের ডেঙ্গুর ইতিহাস আছে তাদের প্রেসার ও ব্লাড কাউন্ট অনেক কমে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, প্রথমবার আক্রান্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই বললেই চলে। তবে দ্বিতীয়-তৃতীয়বারে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। ম্যানেজমেন্ট সুন্দরভাবে চলছে বলেই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ফগার মেশিন দিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রামও চালানো যায়, অথচ আমাদের কাছে যেন এর কোনো মূল্যই নেই। যেসব জায়গায় জমানো জল রয়েছে, সেটা বাড়ি থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশনের নর্দমা, জলাধার পর্যন্ত সব চিহ্নিত করে প্রতিরোধকমূলক কার্যক্রম করার ক্ষেত্রেও কারো উৎসাহ তেমন নেই বললেই চলে।
জেড এইচ/টিএফ