" পবিত্র রমজান মাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বুক থেকে করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী প্রলয় হ্রাস পেতে শুরু করবে। একদিকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় যখন মহান আল্লাহর রহমতপূর্ণ পবিত্র রমজান মাস সম্পর্কে এমন বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে আছেন পরম আস্থায়। অন্যদিকে তখন আধুনিক বিজ্ঞান ও বস্তু জগতের লৌকিকতা ও বাস্তবতার একাগ্র অনুসারিরা এমন দাবিকে কেবল মাত্র অবাস্তব ও অলৌকিক (বিজ্ঞানের মতে কাল্পনিক)- ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস হিসেবেই বিবেচনা করছেন। তাদের মতে এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তারা বলছেন, আরবি পঞ্জিকার আর দশটা মাসের মতই একটি মাসের নাম রমজান। সেক্ষেত্রে এমন কী যৌক্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে যে রমজান মাসে দৌড়ে পালাবে করোনাভাইরাসের মহামারী প্রাদুর্ভাব! "
বিষয়টি ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান বিশ্বাসীরা বলছেন, 'আমরা যদি বলি নভেম্বর মাস আসলেই করোনা পালিয়ে যাবে, কেউ কি অকারণে তা বিশ্বাস করবে? অবশ্যই না। সেক্ষেত্রে নভেম্বর মাসেই কেন করোনা পালাবে তার বিপরীতে যথার্থ যুক্তি ও ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা আবশ্যক। বাস্তবতার ভিত্তিতে সেগুলো যাচাই করে মানুষ যদি যৌক্তিক প্রমাণ খুঁজে পায় যা এমন দাবিকে সমর্থন করে, তবেই সেটা বিশ্বাসযোগ্য বলে তারা মেনে নেবে। কারণ, এটাই নিয়ম। ইসলামের কাছে কি ব্যাখ্যা আছে যা রমজান মাসে করোনার প্রকোপ হ্রাসের দাবিকে যৌক্তিক বলে প্রমাণ করতে পারে?
বিশ্বের এমন বহু ঘটনাই রয়েছে যার ব্যাখ্যা, নিরীক্ষা, নিবন্ধন বা সত্যায়ণ- যাই বলা যাক না কেন, এমন প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরস্পর দ্বন্দ্বে জড়ায় অলৌকিক ও অদৃশ্য মহাশক্তিতে বিশ্বাসী ইসলামিক ধর্মতত্ত্ব (বিশেষ করে এক ঈশ্বরবাদ ভিত্তিক মহাস্রষ্টা তত্ত্ব) এবং লৌকিক যৌক্তিকতার স্বাপেক্ষে, বাস্তবতবাদী বিশদ বিদ্যা চর্চাকারী বিজ্ঞান। সুদীর্ঘ কালব্যাপী চলমান এই বিস্তৃত বিতর্কের সার্বিক প্রেক্ষাপট আলোচনায় না নিয়ে, আজ চলুন দেখে নেয়া যাক সাম্প্রতিক আলোচনার বিষয়টি। অর্থাৎ রমজানের আগমনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ার এই প্রচলিত ইসলামিক তত্ত্বের কি কোনো গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা আদৌ আছে; নাকি তা শুধুই কাল্পনিক অলৌকিকতার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস, যা যুক্তি ও প্রমাণভিত্তিক তত্ত্বের বিচারে অসমর্থিত ও অগ্রহণযোগ্য।
প্রথমেই দেখা যাক কেন এই রমজান মাসে করোনামুক্তির বিশ্বাস মুসলিমদের মনে। সহজ ভাষায়, রমজান মাস সম্পর্কে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, পবিত্র রমজান মাসকে মহান (অদৃশ্য/নিরাকার) স্রষ্টা, আল্লাহ তায়ালা বিশেষ মহিমান্বিত মাস হিসেবে বিবেচ্য করেছেন। রমজান মাসের ৩০ দিন (চাঁদের হিসেবে ২৯ বা ৩১ দিনেও মাস হতে পারে) সিয়াম (রোজা রাখা) সাধনা সবল ও প্রাপ্ত বয়স্ক সকল মুসলিমের ওপর ফরজ বা আবশ্যক হিসেবে নির্ধারন করা হয়েছে ইসলামিক বিধান তথা কুরআনীক বিধান মতে। এ বিশেষ মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে নামাজ ও দান দক্ষীনার মত ইবাদতও বেশি বেশি পালন করেন মুসলিমরা। এই মাসটিকে মুসলিমগণ মহান স্রষ্টার বিশেষ রহমত ও বরকতের মাস হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। শুধু তাই নয়, রমজানের আগমনী বার্তাবাহী বিশেষ ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ শবে মিরাজ ও শবে বরাতের মত দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষও এক্ষেত্রে আলোচ্য ভূমিকা রাখে। ইসলামি ধর্মতত্ত্বের সর্বোচ্চ বিধান পবিত্র কোরআন গ্রন্থের অবতীর্ণকরণ সম্পর্কিত মহিমান্বিত এক মহা পবিত্র রজনীর (লাইলাতুল কদর) আলেখ্যে, এই মাসটির গুরুত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আরো অধিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তাই প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমের অবধারিত বিশ্বাস এই যে, এমন অদ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ পবিত্র রমজান মাসের আগমনে মুসলিম তথা সারা সৃষ্টি জগতের প্রতি সুনিশ্চিতভাবেই মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হবে। যার কারণে করোনাভাইরাসের মহামারী সংক্রমণের মত প্রাণঘাতী অভিশম্পাত থেকে মুক্তি পাবে বিশ্ব চরাচর।
অপরদিকে বাস্তু-জগতের গবেষণাভিত্তিক বিজ্ঞানতত্ত্ব যেহেতু অস্তিত্ববাদের ভিত্তিতে অলৌকিক স্রষ্টা তথা নিরাকার মহাশক্তি 'আল্লাহ'র সত্যতাতেই সন্দিহান, তার মতে গতানুগতিক একটি মাসের (রমজান মাস) প্রভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব হ্রাস অপ্রত্যাশিত ও কাল্পনিক। বিজ্ঞানতত্ত্ব বলছে, কোনো কাল্পনিক অদৃশ্য শক্তির আবির্ভাবে নয়, একমাত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবিত কোনো কার্যকর প্রতিষেধক অথবা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার দ্বারাই এই মহামারীর বিস্তার হ্রাস ও নিকেশ সম্ভব। যেটা হতে হবে বাস্তবভিত্তিক, যৌক্তিক, পরীক্ষিত, প্রমাণিত এবং গ্রহণযোগ্য কোন পন্থা। অলৌকিক বা কাল্পনিক তত্ত্ব এক্ষেত্রে সাময়িক মানসিক সান্তনা বই অন্যকিছুই নয়। অনেকে আবার সরাসরিই ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয়টিকে 'মূর্খতা' বলে বিবেচনা করছেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এমন প্রায় ক্ষেত্রেই চট করে অলৌকিক ও অদৃশ্য মহাশক্তির নির্ধারিত ইসলামিক বিধানের সঙ্গে বিজ্ঞানের একটি সংঘর্ষ যেন বিধিবদ্ধ! ইসলাম যখনই অলৌকিক শক্তিতত্ত্ব সম্পর্কে কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করে, বিজ্ঞান সেটাকে মূর্খতা আর ধর্মান্ধতা বলে অবজ্ঞা করে। এক্ষেত্রে অবশ্য অনেকটা দোষ সেই সব মুসলিম বিজ্ঞদের, যারা আজ অবদি বিজ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কুরআনীক তত্ত্বের যৌক্তিক ব্যাখ্যা উপস্থাপনের সাহস করেননি অনেক ক্ষেত্রেই। আর এটা ইসলামিক দর্শন বা কুরআনীক তত্ত্বের দুর্বলতা নয় বরং হালের ঐ সকল কথিত বিজ্ঞদের জ্ঞানের স্বল্পতা, যারা পদে পদে ইসলামের সামর্থ্যকে লজ্জার মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
এখন কথা হচ্ছে নিতান্ত সত্যও কি তাই যা বিজ্ঞান বলছে? অর্থাৎ রমজান মাসের সঙ্গে করোনার প্রকোপ হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি কি কেবলই অবান্তর ধর্মীয় গোড়ামি আর যুক্তিহীন কল্পনা? এই মতবাদের প্রতি বিজ্ঞান তথা আধুনিক সভ্যতার অনাস্থার কারণ কি 'বিজ্ঞানভিত্তিক' যৌক্তিক ব্যাখ্যা না থাকা? তাহলে বিজ্ঞানের শর্ত সাপেক্ষেই যদি একথা প্রমাণসিদ্ধ হয় যে, রমজানের আগমনে করোনাভাইরাসের মত মহামারীর প্রাদুর্ভাব হ্রাস পাওয়ার সম্ভাব্য তত্ত্বটি যৌক্তিক, তবে বিজ্ঞান কি ঔচ্ছ্যনের বুলির মত ইসলামিক বিধান বা তত্ত্বকে ছুড়ে ফেলার আগে একবার অন্তত তা সচেতনভাবে বিবেচনা করার বোধ প্রাপ্ত হবে? বিজ্ঞানের যৌক্তিক ও লৌকিক বোধের কাছেই সে প্রশ্ন রইলো। চলুন বরং বিজ্ঞানের মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তিতেই দেখে নেয়া যাক, রমজান মাস করোনা সংক্রমণ হ্রাস করতে পারে, এই দাবির যৌক্তিক ও লৌকিক চ্যালেঞ্জের কি উত্তর পাওয়া যায়।
করোনার প্রাদুর্ভাব হ্রাসে আধুনিক বিজ্ঞানের চর্চাকারীরা এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো পন্থা বা এর কোনো প্রতিষেধক উদ্ভাবনে সফল হননি। তাই প্রাথমিকভাবে এর বিস্তার প্রতিরোধের বিষয়টিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশ্বজুড়ে যে সকল করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে লকডাউন কার্যকর করা- যাতে মানুষ মুক্তভাবে চলাচলের মাধ্যমে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে করোনা সংক্রমণের শিকার না হন। অজ্ঞাত এই ভয়াবহ ভাইরাসটির সংক্রমণ এরই মধ্যে যে মহামারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার মূল কারণ এর দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা। সেই সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হচ্ছে, দিনে অন্তত ৫-৭ বার যথাযথভাবে হাত-পা-মুখ পরিচ্ছন্নভাবে ধৌত করা, ঘরে অবস্থান করা, মদ্য পানসহ সকল প্রকার নেশার দ্রব্য হতে বিরত থাকা, বাইরের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা, ভিড় সৃষ্টি করে অবস্থান না করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার ও শরীরচর্চার মাধ্যমে দেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া কার্যকর রেখে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
এবার দেখা যাক পবিত্র রমজান মাস কি করে করোনার বিরুদ্ধে নেয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করার মাধ্যমে এর বিস্তারের লাগাম টেনে ধরতে পারে।
১। লকডাউন কার্যকরকরণ: রোজা পালনের ক্ষেত্রে রমজানের প্রতিদিন মধ্যরাতের নির্ধারিত সেহারি গ্রহণের পর দিনের পুরো অংশই পানাহার ও সকল প্রকার ভোগবিলাস থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। দিনের অংশে শরীরে খাদ্য ও পানির যোগান না থাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মানুষ ক্লান্ত থাকে বেশি যা কিছুটা আলস্য সৃষ্টি করে। ফলে অকারণ ঘরের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর মত মানসিকতা রোজাদারের থাকে না। এছাড়া রাস্তায় অতিরিক্ত সময় চলাচল করতে গেলে বিভিন্ন কারণে রোজা হালকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, বাইরে ঘুরাফেরার চেয়ে ঘরেই বেশি অবস্থান করে মুসলমানরা। আলোচ্য দিষয়টি বলছে, কার্যত এই পরিবর্তিত চালচলন করোনা প্রতিরোধে লকডাউন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি করবে। একই সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজারে গতানুগতিক সময়ের মত মানুষের জটলাও থাকবে না, যা সোস্যাল ডিস্টেন্সিং রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
২। সাধারণরত মুসলমানদের মাঝে রমজানের সময় সালাত আদায়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে তুলনামূলক বেশি মানুষ সালাতের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে সামিল হন বেশি। সালাত বা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে পূর্ব শর্ত হচ্ছে ওজু করার মাধ্যমে পবিত্র হওয়া। বেশি মানুষ সালাত আদায় মানে বর্তমানের চেয়ে বেশি মানুষ নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে দিনে অন্তত ৫ বার ওজু ও প্রয়োজনে গোসল করার কাজটি বাধ্যতামূলকভাবে পালন করবে। যা করোনা প্রতিরোধে দিনে ৫-৭ বার স্যানিটাইজেশন ও হাত-মুখ ধুয়ে পরিষ্কার রাখার প্রক্রিয়াটিকে বিশাল জনগোষ্ঠির মাঝে কার্যকর করে তুলবে।
৩। আধুনিক বিজ্ঞানেরভিত্তিতে করা একাধিক গবেষণায় এমন বেশকিছু শারীরিক কসরত সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেগুলো অনুসরনের মাধ্যমে মানুষ দৈহিক স্থিতি, রক্ত সঞ্চালন ও পাচন প্রক্রিয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক কাজগুলো সচল রেখে শরীরকে সুস্থ ও রোগ প্রতিরোধে অধিক সমর্থ করে তুলতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এক্ষেত্রে যে শারীরিক কসরতগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয় তার অধিকাংশই নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে করা দৈহিক ভঙ্গির সাদৃশ্য। অর্থাৎ সাধারণ ক্ষেত্রে যে সকল কসরত মানুষ আমলেই নেবে না, রমজানে নেকি কুড়াতে গিয়ে স্বেচ্ছায় সেগুলো নিত্যদিন পালন করবে মানুষ নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে। যা সুস্থতা প্রদানের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে করোনাকে প্রতিহত করার দৈহিক সামর্থ্য যোগাবে।
৪। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে বছরব্যাপি যে সকল ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান খোলা থাকে, সেগুলো বন্ধ রাখা হয়। একই সঙ্গে বন্ধ থাকে বিভিন্ন বার ও রেস্তোঁরাগুলোও। ফলে বাইরের খোলা খাবার এবং মদ্য পান ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। করোনার হাত থেকে বাচঁতে বিশেষজ্ঞরা যে জীবাণু সংক্রমণ সম্ভাব্য খোলা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, সে কাজটি কিন্তু এক্ষেত্রে কার্যকর হয়ে যাবে। একই সঙ্গে হ্রাস পাচ্ছে মদ্য পানের বিষয়টিও। যা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি।
এমন আরো বহু বিষয়ের নির্দেশনা আছে যা পবিত্র রমজানে মানুষ স্বেচ্ছায় পালন করবে অথচ করোনার বিস্তার প্রতিরোধে এমন কাজগুলোই এখন তাদের দিয়ে বল প্রয়োগে করাতে হচ্ছে। সঠিকভাবে রোজা পালনে কোরআন-সুন্নাহর এ সকল নির্দেশনা স্বেচ্ছায় এবং বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ যখন নিয়মিতভাবে পালন করবে তখন সাবলীলভাবেই করোনা প্রতিরোধে করণীয় নির্দেশনা সমুহ বাস্তবায়ন হবে যথার্থভাবে, যা সন্দেহাতীতভাবেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এরপরেও কি বিজ্ঞান রমজানে করোনার বিস্তার হ্রাসের এই দাবিকে ধর্মান্ধতা আর অজ্ঞতার তকমাজুড়ে দিয়ে নিজের সীমাবদ্ধতা জানান দেবে কি না তা বিজ্ঞানের বিজ্ঞ বিশারদদের বিবাচনাধীন থাকলো। তবে বিজ্ঞানের বলা না বলায় এই অকাট্য সত্যের ভীত নড়বে না সেটা সুনিশ্চিতভাবেই দাবি করা যায়।
লেখক: সহ-সম্পাদক, দৈনিক জাগরণ