• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২০, ০৩:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০২০, ০৩:৩৯ পিএম

কোভিড-১৯

প্রতিষেধক আবিষ্কারে চলছে ৫০০ টি গবেষক দলের ব্যাপক তোড়জোড়

প্রতিষেধক আবিষ্কারে চলছে ৫০০ টি গবেষক দলের ব্যাপক তোড়জোড়
প্রতীকী ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে বিশ্বব্যাপী চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫০০ এর বেশি প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলছে। তবে ভালো প্রতিষেধক পেতে সময় লাগবে আরও। 

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষক বলছেন, ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন কার্যকরী নয়। বরং এতে মহামারি দির্ঘায়িত হচ্ছে। 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী করা উচিত? বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন পদ্ধতি। যাতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল চীন। যদিও দেশটির তথ্য নিয়ে ব্যাপক আপত্তি আছে যুক্তরাষ্ট্রের।

তবে লকডাউনের পুরোপুরি বিপক্ষে মত দিয়েছেন মার্কিন এক বিশেষজ্ঞ। তার দাবি, এতে মহামারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিলোজি বিভাগের সাবেক প্রধান নুট উইটকস্কি বলেন, আমি অবশ্যই বলবো সবাইকে ঘর থেকে বের হয়ে আসা উচিত। শুধু বিশেষভাবে বয়স্কদের যত্ন নিতে হবে। কারণ নিউমোনিয়া হলে তাদের ঝুঁকির মাত্রা বেশি। বাকিরা সবাই সামাজিক মেলা-মেশা বজায় রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশের বিজ্ঞানী একসাথে মিলে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগেও চলছে গবেষণা।

মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস ডট গভ ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত হয়েছে, ৫০০এর বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। যাতে ভাইরাসটির টিকা, রোগ নিরাময়ের ওষুধ, রোগ প্রতিরোধে কার্যকর বিভিন্ন পন্থা উদ্ভাবনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

চীনে গত মাসের শেষ দিকে, প্রথম পর্যায়ের একটি ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। যা চলছে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে। যেখান থেকে সূত্রপাত হয় করোনাভাইরাসের। এতে অংশ নিয়েছেন ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক। এই ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ে নিরাপত্তা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কার্যকারিতার বিষয়। ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে চায়নার ইন্সটিটিউট অব মিলিটারি মেডিসিন।

চীনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফর সোশাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক উ ইয়ানবিন বলেন, আমরা অবশ্যই জরুরি অবস্থার মধ্যে আছি। তবে ভ্যাকসিনের মান ও নিরাপত্তা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। বিশ্বের মানুষ চায় দ্রুত নতুন কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হোক। আমরা ভালো খবরের প্রত্যাশায় আছি।

নেদারল্যান্ডসে কয়েক দশক পুরাতন বিসিজি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন দেড় হাজার স্বাস্থ্যকর্মী।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মিহাই নিতিয়া বলেন, এখনও বলা যাচ্ছে না এটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে কিনা। যদিও করে, তাহলে পুরো কার্যকারিতা জানতে সময় লাগবে ২-৩ বছর।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে পারবে তার গবেষক দল। চ্যানেলটোয়েন্টিফোর।

এসএমএম

আরও পড়ুন