• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২০, ০২:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২০, ০৩:১৬ পিএম

কোভিড-১৯

একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ১৫, নতুন শনাক্ত ২৬৬

একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ১৫, নতুন শনাক্ত ২৬৬
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ● ফাইল ছবি

দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৫ জনে।তবে বৃহস্পতিবারের (১৬ এপ্রিল) তুলনায় গত ২৪  ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে কিছুটা কম। অর্থাৎ নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৬৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী স্রেবিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাসের টেস্টিং বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় লকডাউন কার্যকরের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব মানার পাশাপাশি সব পরামর্শগুলো মেনে চলতে আরও কঠোরভাবে। কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙছেন সাধারণ মানুষ। আর এই কারণে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাস্তায় বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাধারণকে এই নির্দেশনা মানাতে মাঠে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। কিছুক্ষেত্রে জরিমানাও করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে মীরজাদী স্রেবিনা ফ্লোরা জানান, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫৮ জন।এখন পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫০০ জনের বেশি। বাকিরা বাসায় বা কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসা নিয়েছেন। আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন ২৭ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী এবং আক্রান্তদের ৪৬ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। ২০ শতাংশ বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জের।

ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মিরপুর এলাকা, প্রায় ১১ শতাংশ। মোহাম্মদপুর, ওয়ারী এবং যাত্রাবাড়ীতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ শতাংশ করে। উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ করে।

গাজীপুর, চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা আগের চাইতে বেড়েছে।

এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ১৯ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং ১৫ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ৩৪১ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় এবং মারা যায় ১০ জন।

৮ মার্চ (রোববার) দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মাসের শেষ দিক থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এই সিদ্ধান্তের পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছেই। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপও নিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী মহামারীতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ৮২ হাজার ১৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে আক্রান্তদের ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২১ জন মারা গেছেন।

ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৫ জন।

বর্তমানে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৮১ জনের দেহে। তাদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৩ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৬ হাজার ৫৮৮ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭০ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। সেখানে মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৬১৭ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও বাকি দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।

এসএমএম