ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে দক্ষিণ ভারতের তামিল নাড়ুর ভেলোরে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দেগঙ্গার এক ব্যক্তি। কিন্তু সেখানে লকডাউনে স্ত্রী ও শ্যালকসহ আটকা পড়েন তিনি।
বাড়ি ফিরতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চাইলেও পাননি। অবশেষে এক লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বাড়ি ফেরেন তারা।
জানুয়ারি মাসে ক্যানসার ধরা পড়ে রাজ্য সরকারের দমকল দফতরের কর্মী অভিজিতের। চিকিৎসার জন্য ফেব্রুয়ারিতে ভেলোরে যান। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও এক শ্যালক।
বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল ২৫ মার্চ। কিন্তু ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা।
উপায় না পেয়ে ২৬ মার্চ বিমানের টিকিট কাটেন তারা। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। বন্ধ হয়ে যায় বিমান পরিষেবাও।
ট্রেন ও বিমানের টিকিটের টাকা ফেরত না পাওয়ায় অর্থসঙ্কটে পড়েন তারা।
অবশেষে তারা ভেলোরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু ওষুধ ও অন্য পরিষেবা মেলেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অভিজিৎ মল্লিক ও তার স্ত্রী।
অভিজিতের স্ত্রী কাজ করেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে।
তিনি বলেন, লকডাউনে বাড়ি ফিরতে যে এত টাকা মাসুল গুনতে হবে কখনও ভাবিনি।
অভিজিৎ জানান, দিনের পর দিন কেটে গেলেও বাড়ি ফেরার জন্য সাহায্য মেলেনি। শেষে নিরুপায় হয়ে চেন্নাই থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাতে দেগঙ্গার বাড়িতে ফেরেন ওই দম্পতি।
এসএমএম