বরগুনায় এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন। যার মধ্যে মারা গেছেন দু’জন। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মনোবলের ঘাটতি নেই। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য খোলা আছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং অন্তঃবিভাগ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য হাসপাতালের নতুন ভবনের ৫০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৮টি বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ জন করোনা রোগী। মরণঘাতি করোনায় আক্রান্ত জীবন যুদ্ধে লড়াই করা ১৫ জন রোগীর অবস্থাই এখন পর্যন্ত ভালো। যে দু’জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন বাসায় এবং আরেকজন বরিশাল শেবাচিমে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন দৈনিক জাগরণ জানান, জেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার আছেন ১০ জন, এই চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, অন্তঃবিভাগ এবং বহির্বিভাগ চালু রাখা সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে এই ১০ জন চিকিৎসকই ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত করোনা যুদ্ধ শেষ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও চিকিৎসকই হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাবেন না।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আরও জানান, চিকিৎসা সেবা চালু রাখতে এই মুহূর্তে ২০ জন মেডিকেল অফিসার, ২০ জন সিস্টার এবং ১৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী দরকার। আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর নেই এ জেলায়।
তবে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন রোগী, খুব প্রয়োজন হওয়ায় তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না দেয়া পর্যন্ত যেতেও পারবেন না।
বরগুনার বাসিন্দা হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নানা কারণে ভেঙে পড়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডাক্তার হুমায়ুন শাহিন জানান, চিকিৎসক, নার্স এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সঙ্কটের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে সঙ্কট দূরীকরণে কিছুটা সময় লাগবে।
এসএমএম