ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, গত সেপ্টেম্বর থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে থাকতে পারে। তারা মনে করছেন, চীনের উহানও করোনার উৎপত্তিস্থল নয়। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এসব তথ্য দিয়েছেন।
চীনের উহানের একটি সামুদ্রিক মাছের বাজার থেকে করোনার উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। যা ছড়িয়েছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনার বিস্তার ঘটে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে। এরও উৎপত্তি চীনের উহান থেকে ৫০০ মাইল দক্ষিণে গুয়াংডং প্রদেশে।
করোনার ভাইরাসের উৎপত্তি খুঁজতে গবেষণা চালান ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিসিস্ট বা প্রজনন বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ পিটার ফস্টার ও তার দল। ফাইলোজেটিক নেটওয়ার্ক বা গাণিতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে করোনার স্ট্রেন বিশ্লেষণ করেন তারা। সেখানে দেখা গেছে, চীন থেকে অস্ট্রেলিয়া, পরে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে।
করোনার এক হাজারের বেশি জেনোম নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিজ্ঞানীরা। এতে করোনাভাইরাসের তিনটি টাইপ পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসটি, টাইপ-এর কাছাকাছি। গুয়াংডং প্রদেশের ১১ জনের মধ্যে ৭ জনের শরীরে মিলেছে এটি। তবে এর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি উহানে বেশিরভাগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে। সেখানে পাওয়া গেছে করোনার টাইপ-বি। ইউরোপ, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে মিলেছে টাইপ-সি।
ফস্টারের দাবি, বাদুড়ের মধ্যে ভাইরাসের উদ্ভবের সময় এবং উহানে প্রথম পাওয়া ভাইরাসের মধ্যে কয়েকশো মিউটেশনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই জাতীয় গবেষণা, করোনার বিস্তার বুঝতে এবং ভবিষ্যতে এরকম ভাইরাসের বিস্তারের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন ফস্টার।
এসএমএম