আক্রান্তের ৫৪তম দিন
............
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। যা বুধবারের (২৯ এপ্রিল) তুলনায় ৭৭ জন কম। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৬৬৭ জনে। একই সময়ে মারা গেছে আরও ৫ জন। মঙ্গলবার মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৮ জন। সব মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্য ১৬৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ পর্যন্ত ১৬০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯টি কেন্দ্র থেকে ৫ হাজার ৬২৬ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যা গতকালের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৬৫ টি। যা গতকালের তুলনায় তিনটি কম।
তিনি আরও জানান, যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ জন ও ২ জন নারী। ২ জনের বয়স ষাটের ওপর। ৩ জনের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
ব্রিফিংয়ে ডা. নাসিমা জানান, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যধি হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতাল (উত্তরা), রিজেন্ট হাসপাতাল (মিরপুর), সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, রাজারবাগ হাসপাতাল ও লালকুঠি হাসপাতালে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর চিকিৎসা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ বাংলাদেশে কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এর আগে বুধবার (২৯ এপ্রিল) দেশে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪১ জনের শরীরে করেনা শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশের ৬৩টি জেলায় করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে।
শুধু রাঙামাটি জেলাতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সন্ধান মেলেনি।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে বাড়ানো হয় সতর্কতা। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।
শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।
বিশ্বে বেড়েছে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের ২১০ দেশ ও অঞ্চলে করোনায় এ পর্যন্ত মোট ২ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৩২ লাখ ২০ হাজারের বেশি।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) ৬ হাজার ৪০০ এর বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৭ হাজার ৫০০।
করোনায় যুক্তরাজ্যে ৭৬৫, ব্রাজিলে ৪৪৮, ফ্রান্সে ৪২৭, স্পেনে ৪৫৩, ইতালিতে ৩২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছেছে।
যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি, দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৭৮ হাজার।
জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও এক মাস বেড়েছে।
রাশিয়ায় সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশিদের প্রবেশেও ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।
বসনিয়া, সাউথ আফ্রিকায় বেড়েছে নতুন আক্রান্ত।
স্লোভেনিয়ার নাগরিকদের এক মাস অবরুদ্ধ থাকার পর নিজ শহরের বাইরে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে শিথিল হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা।
তিউনিসিয়ায় খুলে দেয়া হবে, উৎপাদন ও কৃষিখাত।
এসএমএম