দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সুস্থতার হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মৃত্যুরা হার ১.৫ শতাংশ।
শনিবার (৯ মে) অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
নাসিমা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ১৭৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭৬, সিলেট বিভাগে ১৬৩, রংপুর বিভাগে ২৬৩, খুলনা বিভাগে ২১১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১১, বরিশাল বিভাগে ১৩০ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৫৩ জন। ঢাকা শহরে ৫৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, ঢাকা বিভাগের ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেটে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, রংপুরে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, খুলনায় ২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বরিশালে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং রাজশাহীতে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে এখন সর্বাধিক সংখ্যক শনাক্ত ব্যক্তি রয়েছে।
গত ১০ দিনে (২৯ এপ্রিল-৮ মে) দেশে ৬৬৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩১৩৪জন। এছাড়া ৮ মার্চ প্রথম শনাক্তের একমাস পর ৮ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১৮ জন। পরবর্তী একমাস ৮ মে এসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৩৪। এতে দেখা যায় গত একমাসে আক্রান্ত হয়েছে ১% এর কিছুবেশি আর এই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৯৯%।
দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২রা মে ৫৫২ জন, ৩রা মে ৬৬৫ জন, ৪ঠা মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬জন , ৮ মে ৭০৯ জন।
দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের শনাক্ত করা হয় গত ৮ মার্চ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়-
০৮ -১৮ মার্চ ১০দিনে মোট শনাক্ত ১৪ জন।
১৯ – ২৮ মার্চ ১০দিনে মোট শনাক্ত ৩৪ জন।
২৯ – ০৭ এপ্রিল ১০দিনে মোট শনাক্ত ১১৬ জন।
০৮ – ১৭ এপ্রিল ১০দিনে মোট শনাক্ত ১৬৭৪ জন ।
১৮ – ২৭ এপ্রিল ১০দিনে মোট শনাক্ত ৪০৭৫ জন।
২৮ – ০৭ মে ১০দিনে মোট শনাক্ত ৬৫১২ জন।
এছাড়া টানা ৪ দিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাতশ’র ওপরে। বৃহস্পতিবার সংখ্যা কিছু কমলেও শুক্রবার তা আবার বেড়েছে ৩ জন। এর আগে প্রথম ৭ শতাধিক রোগী চিহ্নিত হয় গত ৫ মে। সেদিন রোগী শনাক্ত হয় ৭৮৬ জন। পরদিন ৬ মে ৭৯০ জন এবং বৃহস্পতিবার ৭০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এসএমএম