‘পানির অপর নাম জীবন’-এ কথা কারো অজানা নয়। পানির অভাবে মানুষের শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। আবার অতিরিক্ত পানি পানেও হতে পারে অচেনা বিপদ, এমন তথ্যই জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা বলছেন, জীবনে সবকিছুরই ব্যালেন্স দরকার হয়। তেমনই পানি পানেরও সঠিক ব্যালেন্স জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পানি পান করলেই হতে পারে সর্বনাশ।
কী কী সমস্যা হতে পারে, এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে তাড়া দেয়। এর জবাবেই গবেষকরা জানান, পানির অভাবে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় কাবু হতে হয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত পানি পান করলে হতে পারে ওভার-হাইড্রেশন। যার প্রভাবে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায়। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে মগজ স্ফীতি হয়। যা মস্তিষ্কের হাইড্রেশন সেনসিং মেকানিজমে প্রভাব ফেলে।
গবেষকরা জানান, অতিরিক্ত পানি পানে ওভারহাইড্রেশন হলে মস্তিষ্কের হাইড্রেশন সেনসিং নিউরন চিহ্নিত করতে পারে না। যার জেরেই এ ধরনের সমস্যা হয়।
গবেষকদের এমন সতর্কবানীর পর ঠিক করে নিন সারাদিন কতটুকু পানি পান করবেন। ঘুরতে ফিরতে যাদের ঘন ঘন পানি পানের অভ্যাস আছে তারা চাইলে নিয়ম করেও পানি পান করতে পারেন।
প্রতিদিন হালকা শরীরচর্চার পর সামান্য পানি পান করতে পারেন। কিন্তু ভারি শরীরচর্চার পর পানি পান একেবারেই উচিত নয়। তবে শরীরচর্চার পর ডাবের পানি পান করা উত্তম।
দীর্ঘ সময় শরীরচর্চার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এ সময় ঠান্ডা পানি পান করলে তা শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভারি খাবারের পর পানি পান একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয় বলেও জানান গবেষকরা। খাওয়ার আগে বা পরে কোনো সময়ই অতিরিক্ত পানি পান করা উচিত নয়। এটা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও খাবার খাওয়ার সময় ঘন ঘন পানি পানের অভ্যাসও বর্জন করুন।
অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পানে শরীরে লবনের যে ভারসাম্য নষ্ট হয় তাতে নানা রোগ-ব্যাধী হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই তেষ্টা না পেলে পানি পান না করার পরামর্শ গবেষকদের।