বড়দিনের উৎসব উপভোগ করতে নজর দিতে হবে আপনাকে স্বাস্থ্যের উপরও। স্বাস্থ্যে খুব বেশি চাপ ছাড়াই এ সময়টি পার করতে পারেন। বড়দিনে ভালো থাকতে আমাদের জন্য থাকছে সেরা ১০ টিপস...
সারাদিন বসে থাকবেন না
ছুটির দিন বলে সারাদিন সোফায় কিংবা বিছানায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখবেন না। হজমে সহায়তার জন্য খাবারের পর হাটুন। কোনো কোনো সময় হাঁটতে বের হওয়ার জন্য পুরো পরিবারকেও উৎসাহিত করুন। সময়টা ঘোরাঘুরি আর খেলাধুলার মধ্যে কাটাতে পারেন।
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বর্জন করুন
বড়দিনে বিভিন্ন পার্টির আয়োজন থাকে। পার্টিগুলোতে থাকে অ্যালকোহলেরও ব্যবস্থা। সম্ভব হলে এসব পানীয় থেকে দূরে থাকুন।
অতিরিক্ত ক্যালোরি খাবেন না
সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ক্রিসমাস ডিনারে প্রায় ৩০০০ ক্যালোরি গ্রহণ করি। যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রস্তাবিত দৈনিক ভোজনের চেয়ে বেশি! এটি কেবল ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রেই অবদান রাখে না, বদহজমশক্তি এবং পেটের জ্বালাপোড়াও বাড়িয়ে দেয়। ক্রিসমাস লাঞ্চে ভারী খাবার খেলেও ডিনারে রাখুন সাধারণ পুষ্টিকর খাবার।
সর্দি-কাশি থেকে সাবধান
করোনার সময়ে সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। বড়দিনে অনেকেই ঘুরে বেড়ান। তবে এবারের সময়টা অন্যরকম। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি চলছে। তাই স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রেখে শীতে ভাইরাসের সংক্রমনে ঝুঁকি হ্রাস করুন। স্বাস্থ্যকর ডায়েট খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমনো এবং ধূমপান না করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। এতে আপনি যেকোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবেন।
মানসিক চাপ নিবেন না
উৎসবে হাসিখুশি থাকুন। অনেকেই রান্না করা, ঘর পরিষ্কার করা নিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ নেন, যা মোটেও উচিত নয়। মনে রাখবেন, বড়দিন বছরে মাত্র একদিনই হয়। তাই মানসিক চাপ না নিয়ে দিনটিকে উপভোগ করুন।
ফল খান
বড়দিনের পুরো সময়টাতে প্রোটিন খাবার বেশি খাওয়া হয়। মেনুতে ফল থাকে না বললেই চলে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে পার্টি করা হয়। তাই এই সময়ে সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনার ভিটামিন এবং খনিজগুলো পাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিসমাস শপিংয়ের তালিকা ফল নিশ্চিত করুন।
খাওয়ার আগে চিন্তা করুন
ক্রিসমাস পার্টিতে প্রচুর বাদাম, চকোলেট এবং পনির খাওয়া হয়, যা ওজন বাড়াবে। নিজের সামনে যা আছে তা খাওয়ার পরিবর্তে, একটু ভেবে খান। খাবারটি আপনি সত্যিই খেতে চান কিনা, তা ভেবে দেখুন।
মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখুন
এই সময়টা টিভি না দেখে, গেম খেলুন। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে। আপনি যদি গেম খেলতে পছন্দ না করেন তবে প্লেস্টেশন, আইপ্যাড, মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মতো কোনো নতুন গ্যাজেটে আপনার মনকে স্থাপন করুন।
স্বাস্থ্যকর রান্না করুন
খাদ্য স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি অনুসারে, মানুষের মধ্যে খাবারের বিষক্রিয়া হওয়ার জন্য ডিসেম্বর সবচেয়ে সাধারণ মাস। ঝুঁকি কমাতে, টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফ্রিজে খাবার বেশি দিন না রাখাই ভালো। ফ্রিজে রাখার ১০ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যেই মাংসগুলো রান্না করে ফেলুন। না হলে এটি চারপাশে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।