বয়সের ভারে একসময় ওষুধ হয়ে যায় নিত্যসঙ্গী। নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। যদিও এখন অল্প বয়সেই রোগের বেড়াঝালে আটকে যাচ্ছেন অনেকে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মেনে খেতে হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক, ভিটামিনসহ নানা ওষুধ। এসব ওষুধ সেবনের সময়টা যেমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা, তেমনি কিছু খাবারের সতর্কতার কথাও বলেন।
বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাবার গ্রহণে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে বলেছেন স্বাস্থ্যবিদরা। তাদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে শরীরে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা অ্যান্টিবায়োটিক শোষনে বাধা দেয়। তবে দই খাওয়া ভালো। এতে প্রোবায়োটিক আছে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।
- অম্লজাতীয় খাবার চকোলেট, বাদাম, টক ফল, টোম্যাটো খাওয়া যাবে না।।
- অ্যালোকহল ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। অ্যালকোহল খাওয়া যাবে না।
- আঁশ বা ফাইবার জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এটি পাকস্থলীতে খাবার শোষণের গতি কমিয়ে দেয়।
- অতিরক্ত মাত্রায় আয়রন রয়েছে, এমন খাবার খাওয়া যাবে না। এগুলো শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক শোষন বা অ্যাবসর্পসন-এর হার কমিয়ে দেয়।
- ক্যাফেন রয়েছে এমন পানীয়ও খাওয়া যাবে না। যেমন চা, কফি।