ওজন কমানোর জেরে কতই না ধকল পোহাতে হয়। কখন খাওয়া যাবে, কখন খাওয়া যাবে না, কতটুকু খেতে হবে, কী কী খেতে মানা, এমন সবকিছু নিয়ে শুরু হয় নতুন পরিকল্পনা। সুস্থ ডায়েটে নিয়ম মেনে ওজন কমাতে হবে। সেই চেষ্টায় নতুন চার্ট তৈরি করেন।
সঠিক সময়ে খাবার খেলে সঠিকভাবে হজম হয়। পাশাপাশি মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে, যা ওজন কমানোর জন্য উপযোগী। স্বাস্থ্যবিদরা বলেন, সকালের খাবার বেশি করে খেয়ে নিলে সারা দিন তুলনামূলকভাবে কম খিদে পায়। এতে লাঞ্চ ও ডিনারে কম খাবার খাওয়া পড়ে। তখনই ওজন কমে।
অনেকেরই ধারণা, রাতে বেশি দেরি করে খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায়। এটা মোটেও ঠিক নয়। সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় এ তথ্য জানায়।
গবেষণার ফল অনুযায়ী, খাবার গ্রহণের সময়ের সঙ্গে ওজন কম বা বেশি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ১৫০০ শিশুর খাদ্যাভ্যাসের ওপর পরীক্ষা চালায় কিংগস কলেজ অব লন্ডনের গবেষক দল। তাদের তথ্যমতে, খাদ্যাভ্যাসের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সন্ধ্যার খাবারের ওপর ওজন বৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভর করে। তবে রাতে দেরি করে খাওয়া হলে ওজন বৃদ্ধি পায় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গবেষকরা বলেন, রাতে কী খাওয়া হচ্ছে এটাই মূল বিষয়। কখন খাওয়া হচ্ছে এটা মুখ্য নয়। বরং দুপুরের ও রাতের খাবারের ব্যবধান বেশি হলে ক্ষুদা বাড়তে থাকে। তখন বেশি খাওয়া হলে বেশি পরিমাণ ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করে ওজন বৃদ্ধি করে। যেমন রাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে, যা খেলে ওজন বাড়বেই।
গবেষকদের পরামর্শ, রাতে তাড়াতাড়ি না খেলেও ঘুমনোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সেই খাবার অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার হতে হবে। এতে ওজন কমবে এবং বিভিন্ন রোগ থেকেও সুস্থ থাকা যাবে।