দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় করোনায় দিশেহারা পুরো দেশ।
সারাদেশে করোনা শনাক্ত দুই সপ্তাহের আগের তুলনায় বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ঢাকায় বেড়েছে ৫ গুণ। একই সময়ে সারাদেশে মৃত্যু বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি।
ঢাকা মহানগরে শনাক্ত ২০ দশমিক ২৪, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সারাদেশে শনাক্ত ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ শতাংশ, এ হারে রোগী বাড়াকে মারাত্বক বলছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
১৮ জুন ঢাকা মহানগরে করোনা শনাক্ত হয় ৪৭৩ জনের, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ জনে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় এ হার ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ থাকলেও ২ জুলাই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে।
সারাদেশে (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) রোগী শনাক্ত হয় ৮ হাজার ৩০১ জন। নমুনা বিবেচনায় এ হার ২৮.২৭ শতাংশ। দুই সপ্তাহ আগেও করোনা শনাক্ত হয় ৩৮৮৩ জনের, যার হার ছিল ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২৭ জুনের পর থেকে প্রতিদিনই মৃত্যু একশ ছাড়িয়েছে। ১ জুলাই করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড গড়ে। গত ৭ দিন ধরে প্রতিদিনই করোনা শনাক্ত ২০ শতাংশের উপরে।
ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ যে হারে ছড়িয়ে পড়েছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
জুনের ১ তারিখে সারাদেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৭, আর ঢাকায় এ হার ছিল ৪ শতাংশের কিছু বেশি।
জাগরণ/এমএ