• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০৪:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০৪:০২ পিএম

ওমিক্রনের উপধরন আরও বেশি সংক্রামক 

ওমিক্রনের উপধরন আরও বেশি সংক্রামক 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দক্ষিণ আফ্রিকান ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন উপধরন আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে, তারও একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে জানিয়েছে, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু আগের তুলনায় বেশি সংক্রমক হতে পারে। আর বেশি সংক্রমক হলে ক্ষতি করার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

নাজমুল ইসলাম বলেন, আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। রোগীর সংখ্যা কোনোভাবেই যাতে না বাড়ে সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বয়স অনুপাতে মৃত্যুর দিকে যদি আমরা দেখি, সবচেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৬১ বছর থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত। বিভাগভিত্তিক মৃত্যু যদি দেখি, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। বিভাগটিতে ১২ হাজার ৪৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসেবে সেটি প্রায় ৪৩ দশমিক ৮০ শতাংশের বেশি।

হাসপাতালে রোগী বাড়ছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর রোগীর সংখ্যা যখনই বাড়ে, আইসিইউ, এইচডিইউ এবং অক্সিজেন সরবরাহের ওপরও চাপ সৃষ্টি হয়। আমরা প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যেই ১১৯টি হাসপাতলে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপিত হয়েছে। ২৯ হাজারেরও বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার, দুই হাজারের বেশি হাইফ্লো-ন্যাজাল ক্যানোলা এবং দুই হাজার ৩০০টিরও বেশি অক্সিজেন কনসাল্ট্রেটর রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছে।

ডা. নাজমুল আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ভেতরে কারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং কারা পাননি সেই সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা অনেক দিন ধরেই চলছে। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত মোট যে মৃত্যু আমরা দেখেছি, তাতে প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকিরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন ১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৬১ জন।

ইউএম