করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকার মজুদ শেষ হওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন টিকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে অধিদপ্তরের টিকা শাখার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান।
তবে কেন্দ্রে টিকা থাকা সাপেক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে। এক্ষেত্রে সিনোফার্মসহ অন্যান্য টিকা দেওয়া যাবে। টিকার ঘাটতি পূরণে তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এগুলো হাতে পেতে আরও ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এরই মধ্যে নতুন করে টিকা আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেড় মাস সবাইকে টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর।
খোঁজ নিয়ে যায় যায়, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা কেন্দ্রে সব ধরনের করোনা টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে বন্ধ রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ।
রাজধানীর একাধিক টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ করোনা টিকা কেন্দ্র খালি পড়ে আছে। স্বেচ্ছাসেবকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অলস সময় পার করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, করোনাভাইরাস রোধে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ১৫ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। এর ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪২ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় তৃতীয় ডোজ। এটি দেয়া হয়েছে ছয় কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া ৫১ শতাংশ মানুষ এখনও তৃতীয় ডোজ পায়নি। গত বছর ডিসেম্বরে চতুর্থ ডোজ দেয়া শুরু হয়। এ ডোজ নিয়েছেন তিন কোটি ১৭ হাজার জন।
জাগরণ/স্বাস্থ্য/করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯)/এসএসকে