
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। বিপর্যস্ত জনজীবন।
সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় অসুস্থতার ঝুঁকিতে আছেন বৃদ্ধ শিশুরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময় পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই বেশি করে পানি ও তরল খাদ্য পাবার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাথার ওপর সূর্যের দাপটে মানুষ তো বটেই ভুগছে প্রকৃতিও। যদিও আবহাওয়ার তথ্য বলছে গেলো কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।
৩৯ থেকে ৩৬ এ নেমেছে তাপমাত্রা। কিন্তু আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমের অনুভূতি কমছে না। তাই শিগগিরই স্বস্তির কোন খবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস।
অসহনীয় এমন পরিস্থিতিতে শিশু বৃদ্ধ ও বাইরে রোদের মধ্যে কাজ করা কর্মজীবী মানুষ দ্রুত অসুস্থ হতে পারে। বিশেষ করে তাপদাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়ে।
হাসপাতালগুলোতে এখনও ব্যাপক কোন ভিড় না হলেও ডায়রিয়া নিউমোনিয়া ও চিকেন পক্সের কিছুটা প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যা ঈদের পর আরও বাড়ার শঙ্কা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাপদাহের এই সময়ে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের দিনের বেলায় ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে বের হলেও সঙ্গে পানি ও স্যালাইন রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
এই গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে শিশু শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তখন শিশু ডিহাইড্রেশনে ভুগে।
শরীরে পানি এবং প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট, যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইডের ঘাটতি হয়। তাই বাড়িতেও কিন্তু যত্নে রাখতে হবে শিশুকে।
রোদে কাজ করতে গিয়ে কর্মজীবী মানুষরা যাতে পানি শূণ্যতায় না পড়েন সে ব্যাপারে সচেতন থাকার কথা বলা হচ্ছে। সরাসরি সূর্যের নিচে বেশিক্ষণ না থাকারও চেষ্টা করতে হবে।
এমন তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে কাজ করলে অনেকগুলো অসুখ-বিসুখ হতে পারে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মারাত্মক যে অবস্থা সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক বা তাপাহত।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পর পানি পান করা জরুরি। অতিরিক্ত ঘাম হলে লবণ লেবুর শরবত গ্রহণ করতে হবে। বাইরে বেরোলে সঙ্গে পানির বোতল রাখা।
সেই সঙ্গে ইফতারিতে ভাজা পোড়া বা তৈলাক্ত মশলাদার খাবার বাদ দিয়ে রসালো ফলমূল শরবত ও প্রচুর পানি খাবার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
জাগরণ/স্বাস্থ্য/কেএপি