• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ০২:০৬ পিএম

ভারতের চন্দ্র অভিযান

মধ্য রাতে চাঁদে যাত্রা করবে চন্দ্রায়ন ২!

মধ্য রাতে চাঁদে যাত্রা করবে চন্দ্রায়ন ২!

 

আজ মধ্যরাতেই চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে চন্দ্রায়ন ২। রাত ২.৫১ মিনিটে যাত্রা শুরু হবে ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে ভারী চন্দ্রযানের। চাঁদের যাওয়ার পথে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ৩.৮ টন ওজনের একটি উপগ্রহকে।

শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু করে দুই মাসে দীর্ঘ ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে চন্দ্রায়ণ-২ অবতরণ করবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এর অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার সব যাবতীয় যন্ত্রের ডিজাইন তৈরি হয়েছে ভারতেই। ৬৪০ টনের জিএসএলভি এমকে (তৃতীয়) এই চন্দ্রযানটি পরিচিত ‘বাহুবালী’ নামেও। রকেটটি ১৫ তলা ভবনের সমান উঁচু। এবং চাঁদের যাওয়ার পথে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ৩.৮ টন ওজনের একটি উপগ্রহকে। চন্দ্রায়ণ-২ ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে ভারী চন্দ্রযান।

শ্রীহরিকোটায় এই রকেট যাত্রার সাক্ষী থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। রামনাথ তৃতীয় রাষ্ট্রপতি যিনি, সরাসরি এই চন্দ্রযানের মহাকাশ পাড়ি দেওয়া প্রত্যক্ষ করবেন। এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে বানানো চন্দ্রযানটি ১.৪ টন ল্যান্ডার বিক্রমকেও বহন করবে। যা অবতরণের সময় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দুই ক্রটারের মাঝখানে ২৭ কিলোগ্রাম রোভার প্রজ্ঞানকে স্থাপন করবে। এই প্রসঙ্গে ইসরো-র প্রধান কে শিভন বলেন, এই ধরনের উন্নত মানের ল্যান্ডার এই প্রথম ভারতে তৈরি হল।
   
ইসরো প্রধান আরও জানিয়েছেন, এই অভিযান সফল হলে ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছোনোর কৃতিত্ব অর্জন করবে। ভারতের আগে এই অভিযানে সফল হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। চলতি বছরের শুরুতে ইসরাইল চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে এই অভিযানে।
    
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২০২২-র মধ্যে রকেটে করে চন্দ্রাভিযানের কক্ষপথে অভিযাত্রীকে পাঠানোর অঙ্গীকার করেছেন। সেটি সম্ভব হলে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, জিও-স্ট্র্যাটেজিক স্টকগুলিতে কম খরচে বানানো ভারতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ বাণিজ্যমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে সহজেই। এবং দেশ চুক্তিবদ্ধ হবে মহাকাশ শক্তি নিয়ন্ত্রক সংগঠনের সঙ্গে।
   
উল্লেখ্য, চাঁদে ভারতের দ্বিতীয় রানওয়ে চন্দ্রায়ণ-২। এর আগে চন্দ্রায়ণ-১ মিশনে ভারতের ভূমিকা প্রধান হলেও সহযোগিতায় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, বুলগেরিয়া এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এই যাত্রায় খরচ হয়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা। ২০০৮ সালে ভারতের পোলার স্যাটেলাইট ভেইকেল (পিএসএলভি) লঞ্চ করা হয়েছিল।

এর আগে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে মহাকাশে পাঠিয়েছিল ১৫ অ্যাপোলো মিশন। যাতে করে আর্মস্ট্রং সহ ছয় মহাকাশচারী প্রথম পাড়ি দিয়েছিলেন চাঁদে। জানুয়ারিতে চিন ৮.৪ বিলিয়ান ডলার খরচ করে পাঠায় চ্যাং লুনার ক্র্যাফ্ট। ছয় এবং সাতের দশকে রাশিয়া আজকের হিসেবে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে পাঠিয়েছিল মহাকাশ যান।

সূত্র : এনডিটিভি

এসজেড

আরও পড়ুন