
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদও বাতিল হয়ে গেল।
একইসঙ্গে কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করারও প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে তা কার্যকর হবে।
ইতোমধ্যে কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষনেতাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে, অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। বেশকিছু এলাকায় ইতোমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ সংসদ অধিবেশন শুরুর পর রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন। কয়েক মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হয়। পরে আবার অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান অমিত শাহ।
সংসদে অমিত শাহ জানান, দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। এ সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠনের ঘোষণাও দেন।
৩৫-ক অনুচ্ছেদ বাতিলের সম্ভাব্য ভারতীয় উদ্যোগের মূল তাৎপর্য কাশ্মীর আর আগের মতো মুসলমানপ্রধান থাকবে না। জম্মুতেও অমুসলমানদের হিস্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া ৩৫-ক ধারা বাতিলের ফলে কাশ্মীরে ভারতীয় করপোরেটদের সম্পদ ক্রয় ও বিনিয়োগের বিশেষ সুবিধা হবে।
৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যাতীত) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেয়া হয়। এই ধারার বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত ছিল।
আরআইএস