
জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জনগণের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি একথাও বলেন যে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আসলে সরকারের ‘আগ্রাসন’ নীতিরই প্রতিফলন বোঝা যায়।
জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা সোমবার সংসদের দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার সকালেই তাঁর বাসভবনে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক করেন। তারপরেই ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘পুনর্গঠন’ করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর এখন থেকে আর রাজ্য নয় এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
পাশাপাশি লাদাখকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বিধানসভা ছাড়াই একটি স্বতন্ত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে লাদাখ আর জম্মু ও কাশ্মীরকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করলেও সেখানে বিধানসভা থাকবে।
রোবরার রাত থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাসহ জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন নেতাকে গৃহবন্দি করা রাখা হয়েছে।
“১৯৪৭ সালের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ভারতের উপর যে আস্থা রেখেছিল, ভারত সরকার এই একতরফা এবম অত্যন্ত খারাপ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সিদ্ধান্তগুলির পরিণতি সুদূরপ্রসারী এবং বিপজ্জনক। রোববার (৪ আগস্ট) শ্রীনগরে সর্বদলীয় বৈঠক করে যেভাবে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, তা রাজ্যের মানুষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আগ্রাসনেরই নমুনা”, বিবৃতি দেন ওমর আবদুল্লা।
সূত্র : এনডিটিভি
এসজেড