ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ফের প্রতিবেশী পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ চীন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠক শেষে পাঠানো বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়। দ্য ডন
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে পাক গণমাধ্যম দ্য ডন জানায়, চলমান কাশ্মীর সঙ্কট নিরসনে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাক সরকারের পাশে থাকবে চীন। যে কারণে ইস্যুটি নিয়ে এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তাই এবার চীন এখানেও নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা নিশ্চিত করেছে।
চীনা কর্তৃপক্ষের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক সরকারের সকল 'বৈধ অধিকার ও স্বার্থের' প্রতি চীন তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে। সম্প্রতি ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরে সৃষ্ট উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলেও এতে জানানো হয়।
চীনের দাবি, কাশ্মীর ইস্যুতে সব সময় এক পাক্ষিক পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই কখনই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা নেওয়া উচিৎ নয়। পাক-ভারতকে তাদের ঐতিহাসিক বিদ্বেষ কাটিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের বিধি ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সুরাহা হওয়া উচিৎ বলে অভিমত চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকটি শেষে শনিবার (১০ আগস্ট) পাঠানো এক ভিডিও বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, 'চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় যাবত চলা সেই বৈঠককে অতি প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী বলে অভিহিত করেছেন। তাই তারা এই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।'
কোরেশি তার ভিডিও বিবৃতিতে বলেছিলেন, 'কারফিউ পরিস্থিতি শেষ হলেও কাশ্মীরে নতুন পর্যায়ে নিপীড়ন ও বর্বরতা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশঙ্কা করছি, এতে কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয় বরং আরও রক্তপাতের দিকে ধাবিত হবে। তাই বৈঠকে চীনকে আমাদের এ উদ্বেগের কথা অবহিত করা হয়েছে।'
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, 'ঘটনার মোড় অন্য দিকে ধাবিত করতে ভারত পুলওয়ামার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। যে কারণে চীনকে আমাদের সে আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দুই দেশের মন্ত্রণালয় পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করবে; যাতে করে যেকোনো সময় এক যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।'