• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০১৯, ০৫:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১২, ২০১৯, ০৫:১৫ পিএম

অবরুদ্ধ কাশ্মীরে যেমন কাটলো ঈদ

অবরুদ্ধ কাশ্মীরে যেমন কাটলো ঈদ

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে গত রোববার (১১ আগস্ট) থেকে আবারও কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। যে কারণে সেখানকার পথঘাটে এখন এক রকম নির্জন ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ সোমবার (১২ আগস্ট) গোটা উপমহাদেশের মতো ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরেও পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। বিশেষত অঞ্চলটির শ্রীনগর জেলায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র এই দিনটি উদযাপন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে শ্রীনগরের বেশিরভাগ এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া গতকাল থেকেই অঞ্চলটির নিরাপত্তার স্বার্থে পুনরায় কারফিউ জারি করা হয়। বড় জমায়েত থেকে মুসল্লিরা অনাকাঙ্খিত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন এমন আশঙ্কায় স্থানীয় মসজিদেই ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়।

জম্মু ও কাশ্মীরের আশপাশে অবস্থিত ছোট মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যার অংশ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে কাশ্মীরি মুসল্লিদের ঈদের নামাজ আদায়ের ছবি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কুরবানীর জন্য প্রায় আড়াই লাখ ভেড়া ও ছাগলের মজুদ করা হয়

অঞ্চলটিতে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কাশ্মীরি নেতা ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ; যারা গত সপ্তাহ থেকে পুলিশি নজরবন্দির ভেতর রয়েছেন, এবার তাদের আশপাশের মসজিদগুলোতে নমাজ আদায় করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মোদী সরকারের মতে, গত শনিবার (১০ আগস্ট) রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল করার মাধ্যমে শ্রীনগরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মূলত এসবের জেরেই আরও বড় সংঘর্ষের আশায় পরদিন থেকে অঞ্চলটিতে পুনরায় কারফিউ জারি করা হয়, যা এখনো অব্যাহত আছে।

এর আগে গত সপ্তাহের ৫ আগস্ট (সোমবার) কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হরণ করেছিল। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত এর পর থেকে অঞ্চলটিতে বসবাসরতদের নিরাপত্তার স্বার্থে গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যটির বেশিরভাগ অংশে কারফিউ জারি করা হয়।

কাশ্মীরের সর্বশেষ পরিস্থিতি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান সচিব রোহিত কনসালের। তিনি দাবি করেন, 'অনেক মানুষ ঈদকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বাইরে থেকে আসছেন এবং কেনাকাটা করছেন। আজ সোমবারও প্রচুর লোককে সড়কে বেরোতে দেখা গেছে। যেখানেই সরকারি বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন।'

গণমাধ্যমের কাছে স্থানীয় পরিকল্পনা কমিশনের এই প্রধান সচিব বলেন, 'প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে শ্রীনগরে আসতে ইচ্ছুক এমন জনগণের সুবিধার্থে আমরা সব ধরনের সাহায্য প্রদানের চেষ্টা করছি।'

এসকে

আরও পড়ুন